চোখের অ্যালার্জি থেকে শুরু করে ব্রণ সমস্যা- দুর্দান্ত অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে মুখের লালা !

মুখ থেকে যে লালা বের হয় তাতে প্রায় ৯৮ শতাংশ জল থাকে, যেখানে ২ শতাংশ যৌগ, ইলেক্ট্রোলাইট এনজাইম অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Parna Sengupta | Published : Jun 29, 2023 6:18 PM IST

সবার মুখেই লালা তৈরি হয়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রক্রিয়া। এর কারণ হল লালা অ্যান্টিসেপটিক। এটি পেট থেকে শুরু করে ত্বক ও চোখ পর্যন্ত অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। মুখ থেকে যে লালা বের হয় তাতে প্রায় ৯৮ শতাংশ জল থাকে, যেখানে ২ শতাংশ যৌগ, ইলেক্ট্রোলাইট এনজাইম অন্তর্ভুক্ত থাকে। চোখের সমস্যা হলে প্রতিদিন সকালে কাজলের মতো মুখের লালা লাগান। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চশমাও পরার দরকার পরে না। নিয়মিত এর ব্যবহারে ফিরে আসতে পারে চোখের দৃষ্টির সতেজতা। সেই সঙ্গে চোখের ব্যথা, জ্বালাপোড়া, চুলকানিও নিরাময় করে। আসুন জেনে নেই এর উপকারিতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দাদ, ফোঁড়া এবং ব্রণতে মুখের লালা লাগালে এগুলো সেরে যায়। সকালের লালাও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতস্থানে ওষুধের মতো কাজ করে।

ত্বকের সংক্রমণের ঘরোয়া প্রতিকার হল লালা

মুখের লালা ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায় খুবই উপকারী। একজিমায় আক্রান্ত অংশে লালা লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়। সোরিয়াসিসে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত প্রয়োগ করলে আরাম পাওয়া যায়।

জ্বালাপোড়া বা ক্ষতস্থানে লাগান

শরীরের কোনো অংশে যদি কোনো ক্ষত বা আঘাত থাকে, যা সারছে না, তাহলে লালা লাগালে তা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ক্ষতস্থানে ৫ থেকে ১০ দিন লালা লাগালে আরাম পাওয়া যাবে। এটি পোড়া দাগ দূর করতেও কার্যকর।

ছত্রাকের সংক্রমণে কার্যকর

বর্ষাকালে হাতের চারপাশে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। এই অবস্থায় চুলকানি ও জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এতে মুখ থেকে লালা লাগান। ইনফেকশন কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যাবে।

মুখের লালা চোখের সমস্যার নিরাময়

চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাসকারার মতো লালা লাগান ২ থেকে ৪ দিন। লালা লাগালে চোখের ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পেটের জন্য খুবই উপকারী

সকালে লালা পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী। কারণ এগুলোর মধ্যে টাইলিন নামের একটি এনজাইম পাওয়া যায়, যা হজম সারিয়ে তোলে। এই বাসি মুখের জল খেলে পেটের ভিতরে চলে যায়। পেটের জন্য খুবই উপকারী।

Share this article
click me!