আপনি জানেন না আপানার শরীরচর্চার সঙ্গী স্মার্টওয়াচ কিন্তু ব্যাকটেরিয়াদের ঘরবাড়ি পরিণত হতে পারে। যা আপনার অজান্তেই আমন্ত্রণ জানায় একাধিক রোগ জীবাণুকে।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ বর্তমানে স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করেন। নানা কোম্পানি এই ঘড়ি তৈরি করেছে। এই ঘড়ি বলে দেয় আপনার শরীরের হাল হাকিকাহিকৎ। কত পা হাঁটলেন বা কতটা ক্যালোরি আপনার পুড়লো সেখান থেকে শুরু হবে, রক্তের চাপ ও অক্সিজেনের মাত্রাও বলে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন না আপানার শরীরচর্চার সঙ্গী স্মার্টওয়াচ কিন্তু ব্যাকটেরিয়াদের ঘরবাড়ি পরিণত হতে পারে। যা আপনার অজান্তেই আমন্ত্রণ জানায় একাধিক রোগ জীবাণুকে। হার্টবিট, স্ট্রেস লেভেল এবং প্রতিদিনের পদক্ষেপের মতো কার্যকলাপের মাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য লক্ষণগুলি ট্র্যাক করতে পারে, তাই এই গ্যাজেটগুলি বেশ জনপ্রিয়।
বিশেষজ্ঞদের কথায় স্মার্টওয়াচে যদি জীবাণু বাসাবাঁধে তাহলে ইমিউন সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না। শারীরিক ক্ষতি ডেকে আনে। শুধুতাই নয়, এই স্মার্টওয়ার্চের ব্যাকটেরিয়ারাও আপনার আশেপাশের মানুষে জীবনেও অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে। ফ্লোরিডায় স্মার্টওয়াচ নিয়ে একটি গবেষণায় বলা হয়েছে মোবাইলফোন আর স্মার্টওয়াচগুলি ক্ষতিকারণ ব্যাকটেরিয়া বহন করে। সেগুলি আজান্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এটি অ্যান্টিক্লিম্যাক্টিক বলে মনে করা হয়। এগুলি ফিটনেসকেই টার্গেট করে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, 'আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্মার্টওয়ার্চ পরে থাকে। দীর্ঘসময়ের জন্য এগুলি যাতে পরে থাকার যায় সেইভাবেই এগুলি ডিজাইন করা হয়।টয়লেটের রোগজীবাণু সহ ঘাম, ঘামাচি এবং কিসের সংস্পর্শে আসে।' তাই এগুলি রোগজীবাণু বহন করতে পারে। এই সংক্রমণযোগ্য ব্যাকটেরিয়াগুলি বিপজ্জনক কারণ তারা বিভিন্ন আক্রমণাত্মক রোগের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে, যেমন শিশু, বয়স্ক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার রোগী ইত্যাদি ইমিউন সিস্টেম, তারা নিজেরাই এই রোগে আক্রান্ত নাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ব্যাকটেরিয়ারা যাতে স্মার্টওয়াচে ঘরবাড়ি বানাতে না পারে তারজন্য কতগুলি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে।
সেগুলি হল-
১. ধাতব রিস্টব্যান্ড সহ একটি ঘড়ি বেছে নিন। রাবার এবং প্লাস্টিকের ব্যান্ড এড়িয়ে চলাই ভালো।
২.রাবার এবং প্লাস্টিকের ব্যান্ডের স্মার্টওয়াচ আপনি যদি নিয়মিত পরেন তবে সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে তিন মাস ছাড়াছাড়া বদলে নিন।
৪. ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় আপনার স্মার্টওয়াচ খুলে ফেলাই ভালো।
হাত ধোয়ার সময় আপনি আপনার স্মার্টওয়াচটি খুলে ফেলেছেন তা নিশ্চিত করুন যাতে আপনার হাতের কব্জিতেও ভালভাবে পরিষ্কার করা যায়।
৫. স্পিরিট নিয়ে নিয়মিত আপনার স্মার্টওয়ার্চ পরিষ্কার করুন। পরার আগে সেটি ভাল করে শুকিয়ে নিন।
ব্র্যান্ডগুলি সপ্তাহে একবার অবশ্যই ভালকরে পরিষ্কার করুন।
৬.জীবাণুগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য তা আর ক্ষতিকর হবে না।