কোভিড নিয়ে আশার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার সঙ্গে রয়েছে একটি কিন্তুও। কারণ কোভিড শক্তি হারালোরও এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। আপাতত বিদায় নিচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড ১৯ নিয়ে এতদিনে আশার কথা শোনালেন বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞরা। তবে সঙ্গে রয়েছে একটি অস্বস্তি। কারণ কোভিড -১৯এর ভাইরাস এখনও বিদায় নেবে না। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাইব্রিড অনাক্রমত্যা ভারতের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভাইরাসটি দীর্ঘ দিন ধরেই থেকে যাবে। এটি চিরতরে বিনষ্ট হওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় হয়েই থেকে যাবে। মাস্ক ধীরে ধীরে বাতিলের খাতায় চলে যাবে। ইতিমধ্যেই মহামারির স্মৃতি মানুষের মনে বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে।
এই মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আর হচ্ছে না। আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কম। কিন্তু সতর্ক থাকাটা জরুরি। কোভিড নিয়ে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সপেক্ষেই তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন।
ইমিউনোলজিস্ট সত্যজিৎ রথ বলেছেন, কোভিড মহামিরর ভবিষ্যৎ গতিপথ দুটি প্রশ্নের ওপর নির্ভরশীল- ১, অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যসহ নতুন রূপের উদ্ভব হবে কিনা ২, ভ্যাকসিন বা ইমিউনিটির মাধ্যমে মানুষ ঠিক কতদিনের জন্য সুরক্ষিত থাকবে।
পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর ইমেরিটাস প্রফেসর রথ পিটিআই-কে বলেছেন, "যদিও দৃষ্টিভঙ্গি ভাল মনে হচ্ছে, আমি মনে করি সতর্কতা বাঞ্ছনীয়।"
এই সপ্তাহের শুরুতে মঙ্গলবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২০ সালের পর ভারতে সবথেকে কম কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছিল ৬২৫জন। ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার অর্থাৎ এদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪২ । মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। যারমধ্যে পাঁচ জন কেরলের বাসিন্দা আর একজন রাজস্থানের।
গৌতম মেনান অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক- কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি ভারতের কোভিন নম্হর ট্র্যাক করছিলেন। তিনি বসেছেন, ভারতীয়রা হাইব্রিড অনাক্রম্যতার জন্য যথেষ্ট সুরক্ষিত। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন এপিজেমিওলজিস্ট রামানন লক্ষ্ণীনারায়ণ। তিনি আরও বলেছেন টিকার কারণে এখনও অনেকেই কোভিড আক্রান্তের হাত থেকে বেঁচে গেছে। তিনি বলেছেন বিস্টার ডোজ খুবই সুরক্ষা দিচ্ছে। কারণ নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে লড়াই করার পুরো ক্ষমতা রয়েছে। SARS-CoV-2-এর জন্য উদ্বেগের অনেক রূপ উদ্ভূত হয়েছে, সাম্প্রতিক ওমিক্রন স্ট্রেন একাধিক উপ-ভেরিয়েন্টে পরিবর্তিত হয়েছে। এগিয়ে গিয়ে, বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন যে কোভিড অবশ্যই দেশে স্থানীয় হয়ে উঠবে এবং পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে না।