অনেক সময় জলশূন্যতা আটকানোর জন্য সাদা জল পান করা সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে।রইল ইলেক্ট্রোলাইট জল তৈরির ঘরোয়া উপায়
প্রবল এই গরমে নিজেকে হাইড্রেন্ট রাখা খুবই জরুরি। গরমের মধ্যে ত্বক আর শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেকেই প্রচুর জল পান করেন। এটা খুবই জরুরি। কিন্তু অনেক সময় জলশূন্যতা আটকানোর জন্য সাদা জল পান করা সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাই বলেছেন। তিনি বসেছেন, সাদা জল প্রচুর পরিমাণে পান করলেও শরীরের চাহিদা সর্বদা পুরণ করতে পারে না। কারণ তাতে ইলেক্ট্রোলাইটগুলির চাহিদা পুরণ হয় না। তিনি মনে করেন বারবার প্রস্রাব করায় শরীর থেকে ক্রমাগত প্রয়োজনীয় খনিজ গুলি বেরিয়ে যায়।
ইলেক্ট্রোলাইট
ইলেক্ট্রোলাইট হল মূলত পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মত খনিজ পদার্থ। যা জলে দ্রবীভূত বিদ্যুতিক চার্জ বহল করতে পারে। আমরা যে খাবার খাই ও যে তরল পানীয় পান করি তা থেকেই শরীর ইলেক্ট্রোরালগুলি পায়। বিভিন্ন শারীরিক কার্য সম্পাদনে সহায়তা করে যেমন কোষে পুষ্টি সরানো, কোষ থেকে বর্জ্য সরানো, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্নির্মাণে সাহায্য করা, শরীরের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং স্নায়ু, পেশী, হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করা।
মিনারেল নষ্ট
জলে সাধারণত এই খনিজগুলি মিশে থাকে। তবে বিশুদ্ধকরণের কারণে সেগুলি হারিয়ে যায়।এছড়াও ওয়ার্কআউটের কারণে অনক ঘাম হয়, গরমেও প্রবল ঘাম হয়। তাতে খনিজগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সেই কারণে গরমে ডায়েরিয়া বা বমির সমস্যা তৈরি হয়। শরীর খুব তাড়াতাড়ি জলশূন্য হয়ে যায়।
রডরিগ্রেজ গরমকালে খনিজের অভাব পুরণের জন্য ইলেক্ট্রোলাইট যোগ করার পরামর্শ দেন। সঠিকভাবে হাইড্রেটেড হওয়ার জন্য এটি খুব জরুরি বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনি প্রতিবার প্রস্রাব করার সময়, আপনি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটগুলি প্রস্রাব করছেন এবং আপনি জল প্রস্রাব করছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ শুধুমাত্র জল দিয়ে পূর্ণ হয়. সুতরাং আপনি যত বেশি পান করবেন, তত বেশি প্রস্রাব করবেন, তত বেশি আপনার ইলেক্ট্রোলাইটের প্রয়োজন হবে।
তবে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্য মত দিয়েছেন ভারতীয় এক চিকিৎস। তিনি বসেছেন, একজন পুরুষের শরীরের ওজনের প্রায় ৬৫ শতাংশ ও মহিলার ৬০ শতাংশ জল থাকে। তাতেই প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকেয তবে প্রাকৃতিক জলে বা পাহাড়-ঝর্নার জলে খনিজের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যা কৃত্রিম উপায়ে বিশুদ্ধ করা জলে নাও থাকতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, শরীরে খনিজ কম হলে যেমন সমস্যা তেমনই খনিজ বেশি হলেও সমস্যা। কিডনি ও হার্টের ওপর তার প্রভাব পড়ে। তাই আলাদা করে ইলেক্ট্রোলাইট জলে মেশাতে গেলেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে প্রহব এই গরমে বা ওয়ার্কআউটের সময় শরীরকে হাইড্রন্ট রাখার সহজ উপায় হল জলে একচিমটি সামুদ্রিক লবণ ফেলে দেওয়া। প্রয়োজনে ডাবের জল পান করা। তিনি আরও বলেছেন, বাড়িতে ইলেক্ট্রোলাইট জল তৈরি করতে আধাকাপ কমলার রস, ২ কাপ জল, এক চতুর্থাংশ চুনের জল আর এক চিমটি সি -সল্ট, আর ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।