রান্নাঘরে করা অনেক ভুলের কারণেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এখানে রান্নাঘরের কিছু সাধারণ ভুল রয়েছে যা আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
আমাদের দৈনন্দিন খাবারের অন্তর্ভুক্ত জিনিসগুলির গুণমানও আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত কিছু ভুল মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাস উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এবং স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রান্নাঘরে করা অনেক ভুলের কারণেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এখানে রান্নাঘরের কিছু সাধারণ ভুল রয়েছে যা আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
খাবার গরম করুন
খাবার প্লাস্টিকের বাক্সে রেখে গরম করাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়। এইভাবে খাবার গরম করলে এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর নামক ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক রাসায়নিক নির্গত হয়, যা খাবার ও পানীয়ের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। যা স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার
লাঞ্চ বক্স থেকে শুরু করে দুধের মগ, আমাদের রান্নাঘরে প্লাস্টিকের তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস রয়েছে এবং লোকেরা এই জিনিসগুলি প্রচুর ব্যবহার করে। প্লাস্টিকের প্লেটে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের বাক্সে দুপুরের খাবার প্যাক করা পর্যন্ত আজকাল প্ল্যাস্টিকেরই রমরমা। কিন্তু জানেন কি এই প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খেলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। আসলে প্লাস্টিকের পাত্রে গরম খাবার রাখলে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়।
প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল পান করা
পানীয় জল সঞ্চয় করতে প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। মিনারেল ওয়াটার থেকে শুরু করে কোল্ড ড্রিংকস সবকিছুই প্লাস্টিকের বোতলে প্যাক করে পাওয়া যায়। একইভাবে বাড়ির বড়দের থেকে শুরু করে স্কুলগামী বাচ্চাদেরও প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু, প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করলে পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষতি হয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। একই সময়ে, প্লাস্টিকের বোতলে গরম জল ভরে রাখলে, ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলি জলে দ্রুত এবং প্রচুর পরিমাণে দ্রবীভূত হয়, যা আপনার ক্ষতি করতে পারে।
পোড়া খাবার খাওয়া
এই পোড়া খাবারগুলি প্রায়শই রান্না করার সময় অতিরিক্ত সিদ্ধ বা পুড়ে যায় এবং খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। পোড়ার পর খাবারে অ্যাক্রিলামাইড নামক রাসায়নিক উৎপন্ন হয়, যা খাবারের সাথে পাকস্থলীতে পৌঁছায়। এই রাসায়নিক ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তাই পোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়।