ডেঙ্গু জ্বরের কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করে এই রোগটিকে মারাত্মক হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। আসুন জেনে নেই পরিবারের কারও ডেঙ্গু হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না
Dengue: ডেঙ্গু একটি ভাইরাল জ্বর যা এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। আজকাল, বাংলা-সহ দেশ জুড়ে ডেঙ্গু দ্রুত মানুষকে তার শিকার করে তুলছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রচণ্ড জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা হয়। কখনও কখনও ডেঙ্গু প্রাণঘাতীও হতে পারে। যদিও ডেঙ্গু জ্বরের কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করে এই রোগটিকে মারাত্মক হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। আসুন জেনে নেই পরিবারের কারও ডেঙ্গু হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না...
ডেঙ্গু হলে কি খাবেন-
পেঁপে পাতার রস-
ডেঙ্গু জ্বরে পেঁপে পাতার রস পান করা উপকারী বলে মনে করা হয়। পেঁপে পাতায় কাইমোপাপেইন এবং প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নারিকেলের জল-
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে নারকেল জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, এনজাইম, ভিটামিন সি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়, এমন পরিস্থিতিতে নারকেল জল পান করা উপকারী হতে পারে।
হলুদ দুধ-
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু রোগীদের হলুদ খাওয়া উচিত। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এগুলো মেটাবলিজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে হলুদের দুধ পান করলে ডেঙ্গুতে উপকার পাওয়া যায়।
সাইট্রাস ফল-
ডেঙ্গু জ্বরে কিউই, কমলালেবুর মতো টক ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলি খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। ডেঙ্গু জ্বরে এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডেঙ্গু জ্বরে কী খাওয়া উচিত নয়-
১) ডেঙ্গু রোগীদের চা, কফি, সোডা বা কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। এতে জলশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। এটি ডেঙ্গু জ্বরে ক্ষতিকর হতে পারে।
২) ডেঙ্গু হলে মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এটি খেলে অ্যাসিডিটি এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে। জ্বর থেকে সেরে উঠতেও সমস্যা হতে পারে।
৩) ডেঙ্গু রোগীদের ভাজা খাবার দেওয়া উচিত নয়। এটি চর্বি বাড়ায় এবং অনাক্রম্যতা দুর্বল করতে পারে। এমনটা হলে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হতে পারে।