দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হলে তাদের ত্বকে কতগুলি পরিবর্তন দেখা যায়। সেই পরিবর্তনগুলি বাইরে থেকেও স্পষ্ট বোঝা যায়। জানুন কী সেই পরিবর্তনগুলি।
ডায়াবেটিস - আধুনিক জীবনের একটি অঙ্গ বলা যেতেই পারে। বিশ্বের বহু মানুষই এই রোগে আক্রান্ত। এটি এমনই একটি রোগ যা রক্তে শর্কার মাত্রা বেশি হলেই ঘটে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ভারতে ডায়াবেটিশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। জীবন যাপনের পদ্ধতি আর খাদ্যাভ্যাস এই রোগের জন্য দায়ী। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ত্বক দেখলেই তাদের সনাক্ত করা যায়।
১. ডার্ক স্পট
একটি মানুষ যদি অত্যাধিক ইনসুলিন নেয় তাহলে সেই ব্যক্তির ঘাড়ের পিছনে, বগল, যৌনাঙ্গে কালো দাগ হয়ে যায়। এটি সাধারণত প্রিডায়াবেটিসের একটি চিহ্ন।
২.ফোঁড়া
ডায়াবেটিস সরাসরি ফোঁড়া সৃষ্টি করে না! আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার পরিবর্তন আমাদের সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে, যা নিরাময় হতে বেশি সময় নিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে এই ফোঁড়াগুলি হঠাৎ দেখা দিতে পারে এবং আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেগুলি স্থির হয়ে যেতে পারে।
৩. শক্ত ও ঘন ত্বক
হাতের আঙুল বা পায়ের আঙুলের চামড়া ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়। যা ধীরে ধীরে গোটা হাত আর পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাক্তারি ভাষায় সেক্লরোসিস বলে।
৪. স্কিন ট্যাগ
ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট একই রঙের বৃ্দ্ধি দেখা যায়। রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রা বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে এমন অনেক লোকের ত্বকে ট্যাগ থাকে। এগুলি অ-ক্যান্সারবিশিষ্ট বৃদ্ধি যা দেখতে বৃন্ত থেকে ঝুলে থাকা ত্বকের টিস্যুর গুচ্ছের মতো। এরা অ্যাক্রোকর্ডন নামেও পরিচিত
৫. ক্ষত সারতে দেরি
ডায়াবেটিস শরীরকে ইনসুলিনের মতো ব্যবহার করতে অক্ষম করে তোলে, যা উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার দিকে পরিচালিত করে। এটি ক্ষত নিরাময়কে ধীর করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন এবং আমাদের সংক্রমণের প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। ক্ষতগুলিকে চিকিত্সা না করে রেখে দিলে জটিলতা হতে পারে, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনি এটি প্রতিরোধ করার জন্য যা করতে পারেন তা করছেন।
৬. বেডসোর
প্রেসার আলসার নামেও পরিচিত, ত্বকে দীর্ঘায়িত চাপের কারণে বেডসোর দেখা দেয়। এগুলি সাধারণত হিল, হিপস, টেইলবোন বা গোড়ালিতে বিকাশ লাভ করে। ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি (স্নায়ু ক্ষতি) এবং খারাপ সঞ্চালন শুরু করে, উভয়ই চাপ আলসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এগুলি লক্ষ্য না করা সহজ, এই কারণেই এই জাতীয় লক্ষণগুলির সন্ধানে থাকা দরকার৷