শোনা অভ্যেস গঠনের বার্তা দিতে পালিত হচ্ছে World Listening Day, জেনে নিন বিস্তারিত

World Listening Day দিনটি বিখ্যাত কানাডিয়ান সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত শিক্ষক ও লেখক রেমন্ড মারে শেফাররের সম্মানে পালিত হয়। তিনি ১৮ জুলাই ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ওয়ার্ল্ড সাইন্ডস্কেপ প্রকল্পতি ১৯৭০ সালে অ্যাকোস্টিক ইকোলজির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সে কারণে ২০১০ সাল থেকে ১৮ জুলাই পালিত হয়ে আসছে World Listening Day।

Sayanita Chakraborty | Published : Jul 18, 2022 8:35 AM IST

বছরের অধিকাংশ দিনই কোনও না কোনও বিশেষ কারণে উৎসর্গ করা হয়েছে। কোনও দিন বাবার জন্য, কোনও দিন মায়ের জন্য তেমনই কোনও দিন পরিবেশ রক্ষার প্রসঙ্গে সতর্কতা গঠনের জন্য। এমনই সারা বছর ধরে চলে একাধিক বিশেষ দিন উদযাপন। আজও পালিত হচ্ছে এমনই এক বিশেষ দিন। পালিত হচ্ছে World Listening Day। প্রতি বছর ১৮ জুলাই দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে বিশ্ব শ্রবণ দিবস হিসেবে। 

বর্তমান বিশ্বে চারিদিক নানান শব্দে পরিপূর্ণ। কোথাও গাড়ির শব্দ, কোথাও কারখানার, কোথাও বার বেজে চলেছে মাইক। বর্তমানে এই সবের মাঝে কোনও কিছু মন দিয়ে শোনার সময় নেই কারও। আমরা কাউকে কিছু বলতে চাইলেও সে যে পুরো কথা সমান গুরুত্ব দিয়ে শুনবে তা নয়। এদিকে কথা শুনলে কিংবা বললে মানসিক চাপ কমে। দূর হয় মনের অশান্তি। শোনার এই গুরুত্বকে বোঝাতেই পালিত হচ্ছে World Listening Day। 

World Listening Day বার্তা দেয় মানুষকে শোনা অভ্যেস গঠনের। বার্তা দেয় বিশ্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করার। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, World Listening Day দিনটি বিখ্যাত কানাডিয়ান সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত শিক্ষক ও লেখক রেমন্ড মারে শেফাররের সম্মানে পালিত হয়। তিনি ১৮ জুলাই ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ওয়ার্ল্ড সাইন্ডস্কেপ প্রকল্পতি ১৯৭০ সালে অ্যাকোস্টিক ইকোলজির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সে কারণে ২০১০ সাল থেকে ১৮ জুলাই পালিত হয়ে আসছে World Listening Day।

প্রতি বছর এই দিনের একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে। এবছরের থিম হল সীমানা জুড়ে শোনা। এই থিমের মাধ্যমে এটি বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে প্রাকৃতিক শব্দ মানবসৃষ্ট সীমানাকে চিনতে পারে না। World Listening Day কম কথা বলার ও বেশি শোনার অভ্যেস তৈরির বার্তা দিয়ে থাকে।       

এদিকে ১৮ জুলাই আরও একটি কারণে বিশেষ দিনের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আজ ইলেকট্রনিক সঙ্গীত সুরকার ও পদার্থবীদ অস্কার সালার ১১২ তম জন্মদিন। মিক্সচাপ-ট্রুটোনিয়াম নামক একটি বাদ্যযন্ত্রে সাউন্ড এফেক্ট তৈরির জন্য তিনি খ্যাতির শিরোপা পেয়েছিলেন। সে কারণে গুগলের হোম পেজ খুললেই চোখে পড়ছে একটি সুন্দর গ্রাফিক্স। দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে। তার সামনে রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। এই বিশেষ ছবিতে ক্লিক করা মাত্রই উদঘাটন হল রহস্য। 

আরও পড়ুন- ধনেপাতার গুণে ত্বক হবে উজ্জ্বল, ধনেপাতা দিয়ে বানাতে পারেন এই চারটি ফেসপ্যাক

আরও পড়ুন- ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পর খুলছে অফিস, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে রইল টিপস

আরও পড়ুন- একটানা ধামাকাদার পতন, ৫০ হাজারের গন্ডির মধ্যে চলে এসেছে পাকা সোনার দাম, কতটা সস্তা হল রূপো
 

Share this article
click me!