আপনি কী জানেন দুধ জাল দিয়ে গিয়ে যদি কেটে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সব সময় খারাপ দুধ হয় না। এই কেটে যাওয়া দুধটাকেও কিন্তু নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন। কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে আপনি বানাতে পারেন চিজ। তৈরি করা যাবে প্যান কেকও। কেটে যাওয়া দুধ কিন্তু বেশ ভাল ফেসপ্যাকের কাজ করে থাকে।
কম-বেশি প্রতিটি গৃহস্থের বাড়িতেই দুধ (Milk) দিয়ে নানারকম পদ তৈরি হয়ে থাকে। আর সেই জন্য দুধ জাল দেওয়ারও প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় দুধ জাল দিয়ে গিয়ে কেটে গেল। তখন মনে জাগে নানান প্রশ্ন, তাহলে কী দুধটা ভাল ছিল না, নাকি ডেট ওভার গিয়েছিল...এই রকম নানান প্রশ্ন দানা বাঁধতে থাকে মনের ভিতর। তারপর যে ভাবনাটা আসে সেটা হল এই কেটে যাওয়া দুধ নিয়ে কী করবেন। ছানা কাটানোর পাউডার বা বিনা লেবুতে যখন দুধ কেটে যায় তখন সেটাকে সাধারণত খারাপ হয়ে যাওয়া দুধ মনে (Spoiled Milk) করে সোজা রান্নাঘর বা হেঁসেলের (Kitchen) বেসিনে ঢেলে দেন। কিন্তু আপনি কী জানেন দুধ জাল দিয়ে গিয়ে যদি কেটে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সব সময় খারাপ দুধ হয় না। এই কেটে যাওয়া দুধটাকেও কিন্তু নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
আসলে অনেক সময় ফ্রিজে আমরা দু-একদিন দুধ রেখে দিই। তারপর ফ্রিজ থেকে বেড় করে জাল দিয়ে থাকি। আর তখনই তা কেটে যায়। অনেকে অবশ্য সেই কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে নেন। আর তারপরই সেই ছানা দিয়ে তৈরি করা যায় মনপসন্দ ছানার ডালনা বা কোফতা কারি। কিন্তু কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে যে আরও ভিন্ন রকমের রকমারি আইটেম বানানো যায় সেটা কিন্তু অনেকেরই অজানা। শুধু কোফতা কারিই নয়, কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন হরেক রকমের মিষ্টিও। এছাড়াও বানানো যায় আরও হরেক রকম পদ। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আপনার বাড়ির কেটে যাওয়া দুধটা দিয়ে আপনি কী কী বানাতে পারবেন।
দুধ জাল দেওয়ার সময় যদি কেটে যায়, তাহলে সেই কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে আপনি বানাতে পারেন চিজ (Cheese)। হ্যাঁ, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর সেটা যদি বাড়িতেই বানিয়ে ফলত পারেন তাহলে আপনার বাড়ির ছোট বাচ্চাটাও বেশ খুশি হয়ে যাবে। জেনে নিন কীভাবে কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে চিজ বানাবেন। দুধ ছানা কাটতে শুরু করলে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এর পর দেখবেন জল আর চিজ আলাদা হয়ে গিয়েছে। চিজ গরম জল থেকে তুলে নিয়ে নুন জলে ভাল করে ধুয়ে নিন, যাতে ভিনিগারের টক ভাব কেটে যায়। এ বার জল থেকে তুলে নিয়ে সেলোফিন পেপারে মুড়ে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিজ।
বাড়ির কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে বানিয়ে ফলতে পারবেন প্যানকেক (Pan Cake)। ইউ টিউবের যুগে একবার দেখে নিন কীভাবে প্যান কেক তৈরি করা হয়। তারপরই সন্ধ্যা বেলার স্ন্যাক্সের জন্য বানিয়ে ফেলুন প্যানকেক। খাওয়ার বানানোর পাশাপাশি কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে গাছের পরিচর্চাও কিন্তু করা যায়। জাল দিয়ে গিয়ে কেটে যাওয়া দুধ দিয়ে ভাল সার বানানো যায়। গাছের গোড়ায় সেই সার দিলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। কেটে যাওয়া দুধ যেমন গাছের পরিচর্চার কাজে আসে তেমনই ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে উপকারি। কেটে যাওয়া দুধ (Spoiled Milk) কিন্তু বেশ ভাল ফেসপ্যাকের কাজ করে থাকে। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বকের জেল্লা বেড়ে গেছে।
বাড়িতে যদি বিড়াল থাকলে তাকেও কিন্তু কেটে যাওয়া দুধ দিতে পারেন। আমরা কেটে যাওয়া দুধ খেতে পারি না, কিন্তু কেটে যাওয়া দুধের গন্ধ বিড়ালের (Cat) খুবই পছন্দ। আর ওদের খেলে কোনও রকম সমস্যাও কিন্তু হয় না। এটা কখনই ভাববেন না যে আপনার প্রিয় পোষ্যটিকে আপনি কোনও খারাপ জিনিস দিচ্ছেন, বরং জানবেন আপনি আপনার পোষ্যটিকে (Pet) তার প্রিয় জিনিসটাই দিচ্ছেন যেটা সে একেবারে চেটেপুটে খাবে।