প্রতি বছর ১ থেকে ৭ অগস্ট পালিত হয় এই বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ। শিশুর বিকাশের জন্য ব্রেস্টফিডিং করানো কতটা প্রয়োজন সে সম্পর্কে সচেতন করতে পালিত হয় এই সপ্তাহ। এটি একটি বিশ্ব ব্যাপী প্রচারাভিযান। যার লক্ষ্য হল এই মাতৃদুগ্ধ প্রসঙ্গে সচেতনতা প্রচার করা।
পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ বা World Breastfeeding Week। প্রতি বছর ১ থেকে ৭ অগস্ট পালিত হয় এই বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ। শিশুর বিকাশের জন্য ব্রেস্টফিডিং করানো কতটা প্রয়োজন সে সম্পর্কে সচেতন করতে পালিত হয় এই সপ্তাহ। এটি একটি বিশ্ব ব্যাপী প্রচারাভিযান। যার লক্ষ্য হল এই মাতৃদুগ্ধ প্রসঙ্গে সচেতনতা প্রচার করা।
ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন দ্বারা এই বিশেষ সপ্তাহ গঠিত হয়েছিল। বর্তমানে ১২০টি দেশে হচ্ছে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ বা World Breastfeeding Week পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু জরুরী তহবিল (ইউনিসেফ) সুপারিশ করেছে যে একটি শিশুকে অবশ্যই জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ খাওযানো প্রয়োজন। এতে বাচ্চার সঠিক বিকাশ ঘটবে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে WHO এবং UNICEF ব্রেস্টফিডিং আইন প্রসঙ্গে সমর্থন ও প্রচার করার জন্য একটি স্মারকলিপি চালু করেছিল। এটি প্রথম ১৯৯২ সালে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পুরো সপ্তাহ প্রচারের জন্য উৎসর্গ করা হয়। শুরুতে ৭০টি দেশে এই বিশেষ সপ্তাহ পালিত হত। বর্তমানে এই সংখ্যা ১২০-তে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি বছর এই বিশেষ সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে। এবছরের থিম হল ‘Step up for breastfeeding: Educate and support’.
বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ বা World Breastfeeding Week-এর তাৎপর্য-
শিশুর বিকাশের জন্য ও পুষ্টি জোগাতে স্তন্যপান করানো প্রয়োজন। স্তন্যপান সদ্যজাত বাচ্চা ও মা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে বাচ্চাকে যেমন বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তেমনই মায়ের সুস্থ থাকতেও প্রয়োজন বাচ্চাকে স্তন্যপান করানো। তা না হলে মায়ের স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়। সে কারণে চিকিৎসকরা সব সময় স্তন্যপানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে, এই সময় বিশেষ কয়টি জিনিস মাথায় রাখুন। প্রথমত, বাচ্চাকে ব্রেস্টফিডিং করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। এক্ষেত্রে সময় নিয়ে বাচ্চারে খাওয়ান। এই সময় বাচ্চার পেট না ভরলে তার পুষ্টি অপূর্ণ থেকে যাবে। তাই নতুন মায়েরা মাথায় রাখুন বিশেষ এই জিনিস। তেমনই, ব্রেস্ট ফিডিং-এর সময় ব্যথা বা অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক মায়ের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় এমন সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। এতে বাচ্চা ও মা উভয়ে ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতে ব্যাপক পতন, কোথায় ঠেকল সোনা-রূপোর দর, জানুন কলকাতার দর
আরও পড়ুন- বাদামের গুণে ত্বক হবে উজ্জ্বল, ব্যবহার করুন আমন্ডের তিনটি বিশেষ ফেসপ্যাক