এই রোগে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে ভারতের মানুষ! কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে?
ভারতে দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় মহামারি হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা গত কয়েক বছরে দ্রুত বাড়ছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি মানুষ মুটিয়ে যাওয়ার শিকার হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মহিলা এবং দেড় কোটি পুরুষ রয়েছে এবং এক কোটি শিশু অতিরিক্ত ওজনের শিকার হচ্ছে।
এই পরিসংখ্যানগুলি ভয়ঙ্কর কারণ অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া একটি রোগ; তা ছাড়া এটি শরীরে অনেক অন্যান্য রোগকে ও জন্ম দেয়। মোটা মানুষ হয়তো সুস্থ হতে পারে, কিন্তু ফ্যাট এবং মুটিয়ে থাকা শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলকে সময়ের আগেই বুড়ো করে দেয়।
ডাক্তারদের মতে, মোটা হওয়ার সমস্যা হলে তবে কেবল হাঁটা দিয়ে হবে না। আপনাকে এর সাথে ওজন প্রশিক্ষণও করতে হবে। ৪০ বছরের পরে শরীরে পেশির পরিমাণ কমে যেতে থাকে এবং চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই ৪০ এর পরে কোনও না কোনওভাবে শক্তি প্রশিক্ষণ আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। কেবল হাঁটা যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যকর ব্যালান্স ডায়েট নিন- ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার খাবার। আপনাকে স্বাস্থ্যকর ডায়েট গ্রহণ করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রতিদিন ঘরে তৈরি খাবার খান। খাবারে ফল, সবজি, পূর্ণ শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করুন। প্রসেসড ফুড এবং মিষ্টি খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের গ্রহণের দিকে নজর রাখুন। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন চাল, রুটি, ময়দা, সাদা রুটি এবং বাজারে পাওয়া খাবারগুলি কম খাওয়া উচিত। এর পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, সম্পূর্ণ শস্য, কুইনোয়া জাতীয় জটিল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন- ওজন এবং রোগবালাই দূরে রাখতে কোনও না কোনও ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ অবশ্যই করুন। প্রতিদিন ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটুন। হাঁটার পাশাপাশি ব্যায়াম করুন। ওজন প্রশিক্ষণ করুন যাতে দ্রুত ওজন কমানো সহজ হয় এবং ডায়াবেটিস জাতীয় রোগও দূরে রাখা যায়।পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ- ওজন কমানো এবং শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমও গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম আমাদের পুরো শরীরে প্রভাব ফেলে। শরীরে হরমোনের ইমব্যালেন্স ঠেকাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ভাল ঘুম প্রয়োজন। যখন ঘুম পূর্ণ হয় তখন চাপ কমে যায়। যখন চাপ কমে যায় তখন শরীরের ওজনও কমে যায়।