Rabindranath Tagore: আট বছরে লেখা প্রথম কবিতা, ৩ দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, ফিরে দেখা রবি ঠাকুরের কিছু স্মৃতি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনে ২২০০ টিরও বেশি গান লিখেছেন। তার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা। চলুন জেনে নিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তাঁর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও মজার বিষয়।

 

Web Desk - ANB | Published : May 9, 2023 3:29 AM IST / Updated: May 09 2023, 09:07 AM IST

২৫ শে বৈশাখ আপামর বাঙালি তথা দেশাবাসীর কাছে এক বিশেষ দিন। এই দিনেই জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদাসুন্দরী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত এবং সঙ্গীত-সাহিত্যিক সম্রাটের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যিনি একজন কবি, লেখক, নাট্যকার, সুরকার, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক এবং চিত্রশিল্পী যার বর্ণনা দু-চার কথায় শেষ করার নয়। ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের শুরুতে প্রাসঙ্গিক আধুনিকতার সঙ্গে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের পাশাপাশি ভারতীয় শিল্পকে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অর্জনও কম নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনে ২২০০ টিরও বেশি গান লিখেছেন। তার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা। চলুন জেনে নিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তাঁর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও মজার বিষয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম

১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতায় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শারদা দেবীর ঘরে এক শিশুর জন্ম হয়, যার নাম ছিল রবীন্দ্রনাথ, শৈশবে সবাই তাকে আদর করে 'রবি' ডাকতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর ১৩ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট, শৈশব থেকেই পরিবারে সাহিত্যের পরিবেশ পেয়েছিলেন, যার কারণে তিনি সাহিত্যের প্রতি খুব অনুরাগী ছিলেন।

রবি ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলেন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১৮৭৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ব্রিজস্টোন পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন অধ্যয়নের জন্য যান কিন্তু সেখানে পড়াশোনা শেষ না করেই ১৮৮০ সালে ফিরে আসেন।

৮ বছরে লেখা প্রথম কবিতা-

'মীনগণ হীন হয়ে ছিল সরোবরে, এখন তাহারা সুখে জলক্রীড়া করে।' বহু-প্রতিভাসম্পন্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আট বছর বয়সে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে যখন তিনি ১৬ বছর বয়সে 'ভানুসিংহ' ছদ্মনামে তাঁর প্রথম কবিতার সংকলন প্রকাশ করেছিলেন। তিনি শুধুমাত্র ভারতে নয়, এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯১৩ সালে তাঁর রচনা গীতাঞ্জলির জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আজও রবীন্দ্রসংগীতকে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঠাকুর ৩টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিশিষ্ট কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় পারদর্শী ছিলেন। ঠাকুর সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র কবি যার রচনা দুটি দেশ তাদের জাতীয় সঙ্গীত করেছে, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন' এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' ঠাকুরের রচনা। বলা হয় যে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতের একটি অংশও তাঁর কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কারের গল্প-

ঠাকুর ছিলেন প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। যদিও ঠাকুর সরাসরি এই নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেননি, বরং তাঁর জায়গায় একজন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। ঠাকুরকে ব্রিটিশ সরকার 'নাইট হুড' অর্থাৎ 'স্যার' উপাধিতেও ভূষিত করেছিল, কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার পর ঠাকুর এই উপাধি ফিরিয়ে দেন।

 

Share this article
click me!