
Summer Care Tips For Kids : গরমকালে বাচ্চাদের রক্ষা করা খুবই জরুরি। বিশেষ করে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে বাড়িতে থাকার কারণে তারা বাইরে খেলতে যেতে চাইবে। খাবার এবং ঘুমকে উপেক্ষা করবে। তবে এই সময়ে অবহেলা করলে বাচ্চাদের ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এছাড়াও এই মরসুমে বাচ্চাদের সঠিকভাবে যত্ন না নিলে ত্বকের সমস্যা সহ অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই গরমে আপনার বাচ্চাদের খুব সাবধানে দেখাশোনা করা উচিত। শিশুদের খাবারে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।
গরমকালে বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় বাড়ির ভিতরে থাকার পরিবর্তে বাইরে খেলতে যেতে চায়। তবে বাচ্চাদের দুপুরের দিকে কখনই বাইরে যেতে দেবেন না, কারণ এই সময়ে রোদ বেশি থাকে। পরিবর্তে সকালে এবং সন্ধ্যায় বাইরে যেতে দিতে পারেন, কারণ এই সময়ে রোদ থাকে না।
গরমকালে বাচ্চাদের ত্বক শুষ্কতা, চুলকানি, ফোলাভাবের মতো নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হয়। পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, প্রস্রাব করতে সমস্যা ইত্যাদি শরীরে জলের অভাবের লক্ষণ। তাই এই সমস্যাগুলো এড়াতে প্রতিদিন শিশুকে ২ লিটার জল পান করান। এছাড়াও সকালে এক গ্লাস ডাবের জল অবশ্যই দিন। কারণ এতে পটাশিয়াম থাকে, যা আপনার বাচ্চাদের সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। মাটির পাত্রের জল এবং সবজা জল বাচ্চাদের জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও তরমুজ, শসা, আঙুরের মতো ফল দিতে পারেন এবং সেগুলোর জুস করেও দিতে পারেন।
সাধারণত গরমে রান্না করা খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে অনেকে ফ্রিজে রেখে খায়, তবে ফ্রিজে রাখা খাবার বাচ্চাদের কখনই দেওয়া উচিত নয়। এর ফলে বাচ্চাদের বমি, মাথা ঘোরা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও বাচ্চাদের গরমকালে ঠান্ডা জল দেবেন না।
গরমকালে বাচ্চাদের সুতির কাপড় পরা ভালো। কারণ এটি অন্যান্য কাপড়ের চেয়ে বেশি ঘাম শোষণ করে। এছাড়াও বাচ্চাদের হালকা রঙের কাপড় পরান।
গরমকালে বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই তাদের চোখে সানগ্লাস পরান। কারণ সানগ্লাস সূর্যের রশ্মি থেকে বাচ্চাদের চোখকে রক্ষা করে। এছাড়াও টুপি পরা ভালো। মাথায় রোদ লাগলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও বাইরে থেকে বাড়িতে আসার পরে অবশ্যই ঠান্ডা জলে মুখ ধুতে হবে।
গরমকালে বাচ্চাদের মশলা, মরিচ, মিষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত না। কারণ এগুলো শরীর গরম করে। এছাড়াও পিৎজা বার্গারের মতো জাঙ্ক ফুড দেওয়া উচিত না, কারণ এগুলো তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়। পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খাবার দিন।
এক কাপ ঘোল-এ এক চামচ জিরা গুঁড়ো, লেবুর রস এবং সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পরে বাচ্চাদের দিলে তারা হাইড্রেটেড থাকবে এবং হজমও দ্রুত হবে। ঘোল-এ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি12 থাকার কারণে এটি বমি বমি ভাব, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দূর করে।