১৯০২ সালের ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস। বয়স হয়েছিল মাত্রা ৩৯। সেদিন রাত ৯টার একটু পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ জয়ন্তী। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। ১৯০২ সালের ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস। বয়স হয়েছিল মাত্রা ৩৯। সেদিন রাত ৯টার একটু পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
জানা যায়, আর পাঁচটা দিনের মতোই সেদিন সকালেও খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন বিবেকানন্দ। আকাশ ছিল মেঘে ভরা। বৃষ্টি পড়ছিল। সেই ছায়াচ্ছন্ন সকালে মন্দিরে দীর্ঘ সময় উপাসনায় মগ্ন ছিলেন স্বামীজি। শরীরে অসুস্থতরা কোনও লক্ষণই ছিল না। পরে প্রাতঃরাশে দুধ, ফল খেতে খেতে সকলের সঙ্গে হাসিঠাট্টাও করেন। চা, কফিও খান। খানিক পরে গঙ্গা থেকে ইলিশও কেনেন। স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে খানিকক্ষণ বেড়ান গঙ্গাপাড়ে। এরপর সাড়ে আটটা নাগাদ বসলেন ধ্যান। তা চলল এগারোটা পর্যন্ত। সেদিন তিনি গানও গেয়েছিলেন। শ্যামা মা কি আমার কালো... গান গেয়েছিলেন।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেন। দুপুরে ঝোল থেকে ভাজা সব খান। ইলিশ মাছ খেয়েছিলেন বেশ তৃপ্তি করে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন স্বামীজি। অল্প সময় পরে জেগে ওঠেন। তখন তাঁর শরীর খারাপ লাগছিল বলে জানান। মাথা ব্যথা করছিল তাঁর। কিন্তু, পরে ফের লাইব্রেরিতে গিয়ে ব্যাকরণ পড়ালেন সাধু ব্রক্ষচারীদের।
বিকেলে এক কাপ গরম দুধ খেয়ে স্বামী প্রেমানন্দকে নিয়ে বেড়াতে যান বেলুড় বাজার পর্যন্ত। বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। পৌনে আটটা নাগাদ নিজের ঘরে থাকাকালীন বলেন, গরম লাগছে জানলা খুলে দিতে। মেঝের বিছানায় শুয়ে পড়েন। রাত ৯টা নাগাদ চিৎ অবস্থায় থেকে বাঁদিকে ফেরার পরডান হাত কেমন কেঁপে ওঠে। শিশুদেপ মতো কেঁদে ফেলেন। ৯টা ২ থেকে ৯টা ১০-র মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন