আবার নাকি জাঁকিয়ে পড়বে শীত। তাই কমলালেবুর বাজার এখনও গরম।
শীতকালে মিঠে রোদ পিঠে মেখে কমলালেবুর খোসা ছাড়াতে কার না ভাল লাগে। তবে জানেন তো, শুধু ভাললাগাই নয়, এই লেবুর রয়েছে অনেকরকম গুণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কথায় বলে, দিনে একটা আপেল খেলে আর ডাক্তারবদ্য়ি করতে হয় না। কিন্তু দিনে একটা কমলালেবু খেলে কী হবে বলতে পারবেন কেউ? একটা কমলালেবুতে ৬০-এর বেশি ফ্ল্য়াভনয়েড আর ১৭০-এরও বেশি বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্য়ালস থাকে। যাতে করে এই পুষ্টিগুণ অপরীসিম হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য় করে এই কমলালেবু। এই লেবু মহিলাদের ইস্কিমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এই লেবু। এমনকি ছোটদের লিউকেমিয়া বা রক্তের ক্য়ানসার প্রতিরোধেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি থাকে, যা ওই রোগপ্রতিরোধে সাহায্য় করে। কোলোরেক্টরাল ক্য়ানসারের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি কমায় কমলালেবু। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কমলালেবুতে থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-সি, কোলাইন, হার্টের সুরক্ষায় কাজে দেয়। কমলালেবুতে থাকা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি ত্বকেরও বড় বন্ধু। দূষণ আর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। বলিরেখা কমিয়ে, সার্বিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
একটা মাঝারি আকারের কমলালেবুতে, যা মোটের ওপর দেড়শো গ্রামের কাছাকাছি, তাতে থাকে ৮০ ক্য়ালোরি। যার মধ্য়ে ২৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম প্রোটিন, এছাড়া থায়ামিন, রাইবোফ্ল্য়াবিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ফসফরাস, ফোলেট, প্য়ান্টোথেনিক অ্য়াসিড, ম্য়াগনেসিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম এবং কপার থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থাকে চাঙ্গা করে। এছাড়াও কমলালেবুতে থাকে কোলাইন, জিয়াজ্য়ানথিন এবং ক্য়ারোটিনয়েডস। এই কোলাইন ভাল ঘুমোতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে পেশির সঞ্চালন ও স্মৃতিশক্তিকে ঠিকঠাক রাখতে কাজে দেয়। জিয়াজ্য়ানথিন ও ক্য়ারোটিনয়েডসের যে অ্য়ান্টি অক্সিড্য়ান্ট গুণাগুণ থাকে, তা বিশেষ করে প্রস্টেট ক্য়ানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।