সন্তানের স্কুলের পিটিএম-এ ভুল করেও এই কথাগুলো বলবেন না! ভেঙে যেতে পারে আত্মবিশ্বাস

পিটিএম-এ অভিভাবকদের কিছু কথা শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে পারে এবং সন্তানের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। জেনে নিন এমন ৫ টি কথা যা পিটিএম-এ ভুলেও বলা উচিত নয়।

অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সামগ্রিক সহযোগিতা শিশুদের সঠিক শিক্ষা এবং বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি অভিভাবক এবং শিক্ষকরা একসাথে কাজ করেন, তাহলে শিশু আরও ভালভাবে বিকশিত হতে পারে। কিন্তু কিছু কথা আছে যা অভিভাবকদের পিটিএম-এ ভুলেও বলা উচিত নয়, কারণ এটি শুধুমাত্র শিক্ষকের সাথে ভুল সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না, শিশুদের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

৫ টি কথা যা অভিভাবকদের পিটিএম-এ বলা উচিত নয়

Latest Videos

১. "আমার বাচ্চা অন্য বাচ্চাদের মতো কেন পারফর্ম করছে না?"

বাচ্চাদের যোগ্যতা এবং বিকাশের হার আলাদা আলাদা হয়। প্রতিটি শিশু তার নিজের গতিতে শেখে, এবং তুলনা করলে শিশু আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। আপনার উদ্বেগ শিক্ষকের সাথে শেয়ার করুন, তবে শিশুর অগ্রগতির জন্য তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। এটি ইতিবাচক উপায়ে বিকাশকে উৎসাহিত করবে। 

২. "আমার বাচ্চার এখানে আরও বেশি নম্বর পাওয়া উচিত।"

নম্বর শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, এবং এটি শিশুর সামগ্রিক বিকাশের প্রতিনিধিত্ব করে না। অভিভাবকদের কেবল গ্রেড এবং নম্বরের দিকে নয়, বরং শিশুর সামগ্রিক বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হল আমরা শিশুদের সামগ্রিক শিক্ষা, জীবন দক্ষতা এবং চরিত্র গঠনের দিকে মনোযোগ দেব, শুধু নম্বরের দিকে নয়। 

৩. "আমি বিশ্বাস করি না, আমার বাচ্চা ভুল হতে পারে না।"

এই ধরনের মনোভাব শিক্ষকের প্রতিক্রিয়াকে নেতিবাচকভাবে দেখে। যদি শিশু ভুল করে, তাহলে তাকে সংশোধন করার জন্য শিক্ষক এবং অভিভাবক উভয়কেই একসাথে কাজ করা উচিত। শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি মুক্ত মনে গ্রহণ করা শিশুদের উন্নতিতে সহায়ক।

৪. "যা ইচ্ছা হয় করো, যেভাবে খুশি পড়ো, আমি ব্যস্ত।"

এই ধরনের মনোভাব দেখায় যে অভিভাবকদের শিশুর শিক্ষায় আগ্রহ নেই। এটি শিশুদের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা পাঠায়। অভিভাবকদের দেখানো উচিত যে তারা শিশুর শিক্ষা এবং বিকাশে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং এটি শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। 

৫. "যদি আমার বাচ্চা বিরক্ত হয় এবং তার সমস্যা হয়, তাহলে এটি আপনার দোষ, আমি ফি দিয়েছি।"

শিক্ষকের কাজ শিশুকে সাহায্য করা, তবে শিশুদের অগ্রগতি এবং সংগ্রামে অভিভাবকদের অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয়ের সহযোগিতাই সঠিক ফলাফল দিতে পারে। শিশুদের সংগ্রাম এবং অগ্রগতির জন্য উভয় অভিভাবক এবং শিক্ষক দায়ী। যদি উভয় একসাথে কাজ করেন, তাহলে শিশু ভাল ফলাফল পেতে পারে।

অভিভাবকদের শিক্ষকের সম্মান করা উচিত এবং তাদের সমর্থন করা উচিত, কারণ একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশেই শিশু সঠিক দিকে বিকশিত হয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Rohit Sharma-কে দেখে উল্লাসে মেতে উঠলেন ভক্ত! দেখুন সেই মুহূর্ত #shorts #shortsfeed #shortsfeed
Suvendu Adhikari : ছোট্ট অস্মিকার পাশে এবার শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন কী বলছেন তিনি
'এখন থেকেই ব্যাগ গোছান, ২৬-এ ওরা ক্ষমতায় আসলে...' চরম সত্যটা বলে দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari |
মমতার খেলা ধরে ফেললেন শুভেন্দু | Suvendu on Mamta #shorts #suvenduadhikari #mamatabanerjee
'৭০ ভাগ হিন্দুদের এক হতে হবে, তাহলেই সিদ্দিকুল্লা-ফিরহাদদের স্বপ্ন শেষ!' | Suvendu Adhikari | BJP