Parenting: নিজের সুবিধার জন্য বাচ্চাকে মোবাইল দেওয়া অনুচিত, মোবাইল থেকে হতে পারে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা

বাচ্চাকে চুপ করাতে কিংবা তার বায়না সামাল দিতে হাতে মোবাইল (Mobile) ধরিয়ে দেন অধিকাংশই। ইন্টারনেটের (Internet) রঙিন দুনিয়ায় কিংবা গেমের জগতে বাচ্চারা চট করে হারিয়ে যায়। এই ভার্চুয়াল দুনিয়া কিন্তু বাচ্চাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

Sayanita Chakraborty | Published : Nov 2, 2021 8:27 AM IST / Updated: Nov 14 2021, 08:51 PM IST

আজকাল সব বাড়িতেই সবে ধন নীল মণি। মানে একটি করেই সন্তান। আর পরিবার বলতে মা-বাবা-সন্তান। খুব বেশই হলে দাদু ও দিদা। প্রতিটি বাচ্চাই আজকাল ছোট পরিবারে (nuclear family) বড় হচ্ছে। মা-বাবা দুজনে কর্মরত (working) হওয়ায় বাচ্চাকে সময় দেওয়ার মতো কারও কাছে তেমন সময় নেই। তাই বাচ্চার বিনোদনের জন্য তারা বাড়িতে মজুত রেখেছেন একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটের। বাচ্চার মন ভোলাতে আজকালকার মা-বাবার কাছে এটাই সহজ উপায়। আর ছোট থেকে এই সকল অভ্যেসকে আপন করে নিয়েছে তারা। কিন্তু, জানেন কি নিজের কাজ কমাতে গিয়ে বাচ্চার কত বড় ক্ষতি করছেন।  

বাচ্চাকে চুপ করাতে কিংবা তার বায়না সামাল দিতে হাতে মোবাইল (Mobile) ধরিয়ে দেন অধিকাংশই। ইন্টারনেটের (Internet) রঙিন দুনিয়ায় কিংবা গেমের জগতে বাচ্চারা চট করে হারিয়ে যায়। এই ভার্চুয়াল দুনিয়া কিন্তু বাচ্চাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। সারাক্ষণ মোবাইল ঘাঁটার ফলে বাচ্চার সৃজনশীল মনের বিকাশ ঘটে না। যে যা দেখছে তা তার মাথায় এত খারাপ ভাবে গেঁথে যায় যে নিজে থেকে কিছু করার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলে। 

আরও পড়ুন: এই খাবারগুলি বাড়াবে আপনার সন্তানের উচ্চতা, ট্রাই করে দেখতে পারেন

অধিকাংশ বাচ্চাই ঘুমানোর সময় বানয়া করে। আগেকার দিনে বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে মা বা বাড়ির গুরুজনরা গল্প বলতেন। আর এখন বাচ্চা গল্প শোনে মোবাইলে। বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে ফোনে গল্প চালিয়ে দেন। অথবা হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেন। এতে মোবাইল ঘাঁটার নির্দিষ্ট সময় বাচ্চা ঘুমায় ঠিকই। তবে এই অভ্যেস থেকে শারীরিক ক্ষতি হয়। দেখা দেয় স্লিপিং ডিসঅর্ডার (Sleeping Disorder)। আর মোবাইলের রে বাচ্চার চোখেরও ক্ষতি করে। 

সারাক্ষণ হাতে মোবাইল পেল এর থেকে অ্যাডিকশন বা মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। হাতে মোবাইল না পেলে তার মধ্যে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী, মোবাইল গেমসের প্রতি আসক্তির জন্য পড়াশোনায় ব্যআঘাত ঘটে। এই অ্যাডিকশন (Addiction) একবার তৈরি হলে তা অনেক বড় বয়স পর্যন্ত থাকে। তাই খেয়াল রাখুন যাতে আপনার দোষে বাচ্চার এমন ক্ষতি না হয়। প্রয়োজন ছাড়া বাচ্চার হাতে মোবাইল দেবেন না।

আরও পড়ুন: Health Tips- এই কয়েকটি টিপসেই মন আসবে কাবুতে, জানুন চঞ্চলতা কমানোর দাওয়াই

মোবাইল হাতে পাওয়া মানে নয় সে গেমস (Games) খেলবে নয়তো ইন্টারনেট ঘাঁটবে। আর সারাদিন মোবাইল দিয়ে বসে থাকার জন্য দেখা দিতে পারে ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা। এছাড়া, আচরণগত (Attitude Problems) সমস্যা দেখা দেয়। সারাদিন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বোঁদ হয়ে থাকা জন্য সে কারও সঙ্গে মিশতে পারে না। এছাড়াও, মোবাইল থেকে বাচ্চার মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মনে। সে ফোনে হিংসাত্মক কিছু দেখলে তা মনে গেঁথে যায়। যা পরবর্তীতে সমস্যা করে। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!