ওষুধ আর নয়! অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য থাকল কিছু ঘরোয়া উপায়

  • অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেননা এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম
  • ভালো কিছু খেতে গেলেই আগে মনে পড়ে এই সমস্যার কথা
  • মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে হয় শুধু এরই জন্য
  • জেনেনিন ওষুধ ছাড়া অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া উপায় 

debojyoti AN | Published : Aug 27, 2019 11:51 AM IST / Updated: Aug 27 2019, 05:37 PM IST

এখন কমবেশি প্রায় সকলেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। মুঠো মুঠো ওষুধ মানুষকে এর জন্য খেতে হয়। তাতেও অনেক সময় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিছু খাওয়ার আগে দশবার ভাবতে হয় খাবারটি খেলে কোনও সমস্যা হবে কিনা। তবে এই সমস্যা থেকে সমাধানের বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। চটজলদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জেনেনিন কি করবেন-

(১) আদা: আদার গুণাগুণ অনেক আর এই আদা অ্যাসিডিটির জন্যও বেশ উপকারি। এক টুকরো আদা বা আদার রস খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। অথবা এক কাপ ফুটন্ত জলে কিছুটা আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। দিনে ২-৩ বার এই ভাবে আদা খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা শুধু যে অ্যাসিডিটি সারাতেই সাহায্য করে তা নয়, আদা খেলে খাবারে অরুচিও কমে যায়।   

(২) কলা: কলা খেয়েও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড থাকে যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। অ্যাসিডিটির থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি একটি সহজতম ঘরোয়া উপায়। অ্যাসিডিটি রোধ করতে প্রতিদিন একটি করে কলা খান দেখবেন এই সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।

(৩) অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এক কাপ জলে ১-২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল দিনে একবার বা দুবার খান। আপনি এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে তা এক গ্লাস জলের সাঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন তাতেও একই উপকার পাওয়া যায়।

(৪) ঠান্ডা দুধ: দুধ গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা পেটে অ্যাসিড গঠনে বাধা দেয়। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন। এই ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি নিরাময়ে সাহায্য করবে।

(৫)দারুচিনি: দারুচিনি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে যা হজমে সাহায্য করে। এক কাপ জলে যদি আধ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে তা ভালো করে ফুটিয়ে যদি খাওয়া যায় তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাবে। 

(৬)বাটার মিল্ক: অনেক নেমন্তন্ন বাড়িতেই শেষ পাতে বাটার মিল্ক দেওয়া হয়ে থাকে। কেন এই বাটার মিল্ক দেওয়া হয়ে থাকে জানলে অবাক হয়ে যাবেন। আসলে বাটার মিল্ক অ্যাসিডিটি নিরাময়ে সাহায্য করে, যা অনেকেরই অজানা। তবে একবার ভারী বা মশলাদার খাবার খাওয়ার পরে বাটার মিল্ক খেয়ে দেখতেই পারেন। দেখবেন আর অ্যান্টাসিড লাগছে না। খাওয়ার পরে এক গ্লাস ছাস বা বাটার মিল্ক পান করুন। সেই সঙ্গে আরও ভালো ফল পেতে এর মধ্যে এক টুকরো গোলমরিচ বা এক চা চামচ ধনে পাতা ছিটিয়ে দিন। দেখবেন আর অ্যাসিডিটি হবেনা। 
 

Share this article
click me!