বাচ্চাদের দুধের দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে যদি তারা খুব বেশি মিষ্টি খায় এবং প্রতিদিন সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করে। তাদের গহ্বরের সমস্যা রয়েছে। কখনও কখনও, একাধিক গহ্বর এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আজকাল বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের ফাস্টফুড, টফি-চকলেট দিয়ে বায়না পূরণ করেন। বাচ্চাদের দুধের দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে যদি তারা খুব বেশি মিষ্টি খায় এবং প্রতিদিন সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করে। তাদের গহ্বরের সমস্যা রয়েছে। কখনও কখনও, একাধিক গহ্বর এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সময় মতো দাঁতের যত্ন না নিলে অনেক সময় এই ক্যাভিটিস খুব গভীর হয়ে যায় এমনকি রুট ক্যানেলেরও প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায়, আপনি যদি চান আপনার সন্তান একটি উজ্জ্বল ও সুস্থ হাসি নিয়ে বেড়ে উঠুক, তাহলে এখানে জেনে নিন শিশুদের দাঁতে ক্যাভিটিসের চিকিৎসা কী এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়।
শিশুর দাঁতের যত্ন করতে চান, তাহলে করুন এই কাজটি-
টফি-চকলেট বা কোনো মিষ্টি জিনিস বেশি খেতে দেবেন না।
ফাস্ট ফুড বা তৈলাক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলুন।
বেশি গরম জিনিস খেতে দেবেন না।
দাঁতে পর্যাপ্ত পুষ্টি দিন, প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
ছোট বাচ্চাদের সকালে এবং সন্ধ্যায় ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শিশুর দাঁত ওঠার পর কম জুস পান করতে দিন। ফলের তুলনায় জুস কম স্বাস্থ্যকর এবং ফাইবার কম, ক্যালোরি বেশি এবং চিনি যুক্ত।
বাচ্চার দাঁতে ক্যাভিটিস থাকলে কী করবেন, কী করবেন না-
শিশুদের দাঁতে ক্যাভিটিস বা ক্ষয়ের সমস্যা হলে প্রথমে ডেন্টিস্ট, পেরিওডন্টোলজিস্ট ডাক্তার দেখান।
শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যান।
আপনি যদি বাড়িতে শিশুদের চিকিত্সা করতে চান, তাহলে হালকা গরম জলে বাচ্চাদের মুখ ধোয়ান।
শিশুদের দাঁতে ক্যাভিটিস প্রতিরোধের সবচেয়ে সহজ উপায় হল জল পান করা, তাই শিশুকে সারাদিন প্রচুর জল পান করতে বলুন।
দাঁতের কৃমি রোধ করতে পুষ্টিকর জিনিস খাওয়ান, যেমন তাজা ফল এবং শাকসবজি। এছাড়াও আপনি বাচ্চাদের মোজারেলা, পনির, দই এবং দুধ দিতে পারেন, কারণ এগুলো সবই দাঁতের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়।
শিশুকে আঠালো জিনিস যেমন কিশমিশ খাওয়াবেন না।
আরও পড়ুন- ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এগুলি, জেনে নিন খাওয়ার পদ্ধতি
আরও পড়ুন- ব্লিচ করার পর ত্বকে জ্বালা পোড়া করে, এই ঘরোয়া উপায়গুলি মেনে তবেই ব্যবহার করুন
আরও পড়ুন- সব সময় স্পাইসি খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তবে জেনে নিন এর আসল কারণ
খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই শিশুকে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে বলুন।
ঘুমানোর আগে বাচ্চাদের দুধ বা খাবার দেওয়ার পর ব্রাশ করতে ভুলবেন না।
একেবারে টফি, চকলেট, চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার সংখ্যা কমান।
সময়ে সময়ে আপনার বাচ্চাদের দাঁতের চেকআপ করান, নিয়মিত ফলোআপও করুন