ড্রাই ফ্রুট খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। অন্য় যেসব তাজা ফল রয়েছে, তার চেয়ে এই শুকনো ফলের ক্য়ালোরি অনেক বেশি। এর ক্য়ালোরি আসে মূলত কার্বোহাইড্রেট থেকে। প্রোটিন থাকে খুবই অল্প পরিমাণে। এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল ও যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে ২৭৭ ক্য়ালোরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া পটাশিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, কপার, ম্য়াঙ্গানিজ, আয়রন ও ভিটামিন-৬ থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় খেজুর খেলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য় দূর করতে সাহায্য় করে। খেজুরে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে। কারণ, ফাইবার হজম হয় ধীরে ধীরে। এই কারণেই তা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াকে বাধা দেয়। সেই কারণে খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যার মধ্য়ে ফ্ল্য়াবনয়েডস, ক্য়ারোটিনয়েডস ও ফেনোলিক অ্য়াসিড উল্লেখযোগ্য়। এই সমস্ত অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে, আলজাইমার রোগ, কিছু ধরনের ক্য়ানসার, হার্ট ডিজিস, চোখের নানারকম সমস্য়া আর ডায়েবেটিস মোকাবিলা করে।
মনে রাখবেন, খেজুর হল প্রাকৃতিক মিষ্টি বা ন্য়াচারাল সুগার। কারণ, এতে থাকে ফ্রুকটোজ। এমনি চিনির পরিবর্তে খেজুর খাওয়া তাই অনেক স্বাস্থ্যকর। খেজুরে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেলস, বিশেষ করে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম থাকে এতে। এই মিনারেলসগুলো হাড় সংক্রান্ত নানারকম সমস্য়া, যেমন অস্টিওপোরোসিস মোকাবিলায় কাজ করে। আপনি চাইলে খেজুর শুধুই খেতে পারেন, অথবা অন্য়কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনার যা ইচ্ছে। তবে নিয়মিত ডায়েটে তিনটে করে খেজুর রাখতে ভুলবেন না।