আপাতদৃষ্টিতে এই স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নজরে এলেও এর থেকে নির্গত দুর্গন্ধ কোনও অতিথির সামনে আপনার লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন দুর্গন্ধ যুক্ত বাথরুমে সেই ঘরে বসবাসকারী সদস্য বা কোনও অতিথি, কেউই যেতে চাইবে না।
বাড়ি পরিষ্কার করা খুবই দরকার। আর সুস্থ থাকার জন্য বাড়ির দৈনন্দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হয়। আবার বাড়ির কোনও কোনও স্থান আমরা সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করে থাকি। এমনই একটি স্থান হল বাথরুম। আপাতদৃষ্টিতে এই স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নজরে এলেও এর থেকে নির্গত দুর্গন্ধ কোনও অতিথির সামনে আপনার লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন দুর্গন্ধ যুক্ত বাথরুমে সেই ঘরে বসবাসকারী সদস্য বা কোনও অতিথি, কেউই যেতে চাইবে না। এখানে এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো হল, যার সাহায্যে বাথরুমকে সহজেই দুর্গন্ধমুক্ত রাখা যাবে...
এসেনশিয়াল অয়েল
বাজারে পাওয়া যায় এমন যে কোনও এয়ার ফ্রেশনারের চেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত বাথরুমের সুগন্ধ বজায় রাখবে এসেনশিয়াল অয়েল। এ ক্ষেত্রে ডিফিউসার ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও এসেনশিয়াল অয়েলে তুলো ডুবিয়েও বাথরুমে রাখতে পারেন। ল্যাভেন্ডার বা কোনও ফুলের সুগন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল বেছে নিন। আবার লেমনগ্রাসের সেন্টও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুব উগ্র কোনও সুগন্ধ পছন্দ করে বসবেন না।
বেকিং সোডা
নিজের শোষণ ক্ষমতার জন্য সকলের কাছে পরিচিত বেকিং সোডা। তাই দুর্গন্ধ দূর করার উপায় মনে করলে সবার আগে বেকিং সোডার কথাই মনে পড়ে। বাথরুমের কোনও স্থানে বা ফ্লাশের ওপর একটি কাপে করে বেকিং সোডা রেখে দিন। খুব শীঘ্র দুর্গন্ধ শোষণ করে নিতে পারবে এটি। এক মাস পর্যন্ত একই সোডায় কাজ হবে। তার পর এটিকে পাল্টে ফেলতে পারেন। উল্লেখ্য, বাথরুমের মেঝে ও দেওয়ালে লেগে থাকা দাগ-ছোপ পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা কাজে লাগাতে পারেন।
লেবু ও ভিনিগার
সমস্ত বাড়িতেই লেবু থাকে। এক টুকড়ো লেবুতে বাথরুমের সমস্ত দুর্গন্ধ দূর করা যায়। লেবুর একটি স্লাইস নিয়ে বাথরুমে রেখে দিন। এটি দুর্গন্ধ মিটিয়ে বাথরুমকে সতেজতায় ভরে দেবে। প্রতি সপ্তাহে লেবুর টুকড়োটি পাল্টে দিতে ভুলবেন না। সাদা ভিনিগার যে শুধু বাথরুমের দুর্গন্ধই দূর করবে, তা নয়, বরং এর সাহায্যে বাথরুমও পরিষ্কার করা যায়। একটি পাত্রে ভিনিগার ঢেলে বাথরুমে রেখে দিন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর ভিনিগার পাল্টে দিন। এর পাশাপাশি নলে কিছু জমে যাওয়ার কারণে সেখান থেকে জল কম পড়লে ভিনিগারের সাহায্যে তা পরিষ্কারও করতে পারেন।
বিশোষক বা ডেসিক্যান্ট
বাথরুমে দুর্গন্ধের অন্যতম প্রধান কারণ হল হিউমিডিটি ও ময়শ্চার। তাই কোনও শুকনো পদার্থ, যা এই আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে, তা রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাজারে অর্দ্রতা শোষণকারী পদার্থ হিসেবে সাধারণত সিলিকা জেল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ফার্ন বা লিলি প্ল্যান্টও বাথরুমে রাখতে পারেন। এটি আর্দ্রতা শোষণের প্রাকৃতিক বিকল্প।
এ ছাড়াও, দু কাপ জলে এক টেবিলচামচ ভিনিগার, এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে বাথরুমে স্প্রে করতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বাথরুমে এটি স্প্রে করলে দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
ভেন্টিলেশান
বাথরুমে সুষ্ঠু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে এটি কিছুটা হলেও দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক হয়। এর ফলে বাথরুম হাইজিনিকও থাকে। এ ক্ষেত্রে জানালা বা এক্সস্ট ফ্যান আপনার মুশকিল আসান করতে পারে। তা সম্ভব না-হলে এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন।
নিয়মিত পরিষ্কার করুন
বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য ভিনিগার, লেবু ও বেকিং সোডা আপনার কাজে লাগতে পারে। এর সাহায্যে বেসিন বা টয়লেটই নয় বরং টাইলসও পরিষ্কার করতে পারেন। টাইলসে কাদা জমে জমেও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। আবার নর্দমার মুখে লেগে থাকা ঢাকনাও এর সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এর ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ আসার সম্ভাবনা কমবে।