এমন কোনও খাবার নেই যা খেলে করোনা আর হামলা করতে পারবে না শরীরে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে, করোনার হামলা করার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে।
যেমন বলা হচ্ছে, আপনি যদি একটু বয়স্ক হন আর সেইসঙ্গে ধূমপায়ী হন, তাহলে বিপদ। ধূমপায়ীদের ফুসফুস, বিশেষ করে যাঁদের আবার সিওপিডি রয়েছে, তাঁদের ফুসফুস করোনাভাইরাসের বড় পছন্দের জায়গা। তাই অবিলম্বে ধূমপান ছাড়ুন বা একেবারে কমিয়ে ফেলুন।
গরম জল ভাইরাসের হামলা প্রতিরোধ করবে এমনটা বলা হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমিয়ে দেবে। তাই দিনের মধ্য়ে যতবার পারুন চা খান। দুধ সহ্য় না-হলে লিকার চা। দু-একবার কফিও চলতে পারে। গরমদুধ বা সুপ হলেও আপত্তি নেই। এই গরম খাওয়ার ফলে ভাইরাস সহজে হামলা করতে পারবে না।
প্রোটিন খান পরিমাণ মতো। মাছ পাওয়া যাচ্ছে কি যাচ্ছে না সেই চিন্তা করবেন না। হাতের কাছে যা পাবেন তা-ই খান। মাংস পেলে মাংস। নইলে ডিম। সোয়াবিন বা নিউট্রিলাতেও খুব প্রোটিন থাকে। বিভিন্নরকম ডাল খেতে পারেন। চালেডালে বসিয়ে দিতে পারেন মাঝেমধ্য়ে। এছাড়া দুধ পেলে দুধ। নইলে দই বা ছানা। যে কোনও একটা হলেই হবে।
একটা ভিটামিন ক্য়াপসুল খান। সাধারণত মাল্টিভিটামিন ক্য়াপসুল হলেই ভালো। যে কোনও ট্য়াবলেট। হাতের কাছে যা পাবেন তা-ই। বি-কমপ্লেক্স হলে বেশি ভালো হয় বলে কেউ কেউ বলছেন। তবে মাল্টি ভিটামিন ক্য়াপসুলে বি-কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ভিটামিন-সি, সবই ভালো পরিমাণে থাকে।
কোনও-না-কোনও ব্য়ায়াম করুন। হাঁটা যদি সম্ভব না-হয় যোগাসন করুন। নইলে বাড়ির মধ্য়েই কয়েকপাক খান। হাত-পা নাড়াচাড়া যাতে বেশি করে হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর হ্য়াঁ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম যাতে হয়, তা নিশ্চিত করুন।