আজকাল অনেকেই স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করার জন্য অনেক ওষুধ খেয়ে থাকেন, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এই ধরণের ওষুধের বেশ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, যা নানা ভাবে শরীরকে বড়সড় ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
মাঝে মাঝেই মনে থাকে না গুরুত্বপূর্ণ কথা। অনেক সময় ছোট ছোট অনেক কাজ করতেই ভুলে যাই আমরা। বর্তমান সময়ে এই ভুলে যাওয়া যেন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স্ক মানুষেরা তো বটেই, কমবয়েসীরা অনেকেই ভুলে যাওয়ার অভ্যাসের কারণে সমস্যায় পড়েন, তবে এমন পরিস্থিতিতে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার ডায়েটে কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করে আপনি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
কিন্তু আজকাল অনেকেই স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করার জন্য অনেক ওষুধ খেয়ে থাকেন, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এই ধরণের ওষুধের বেশ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, যা নানা ভাবে শরীরকে বড়সড় ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আসুন আমরা এখানে বলি যে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হলে কী কী জিনিস খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলো যদি রোজ আপনার পাতে থাকে, তবে স্মৃতিশক্তি কিছুটা হলেও উন্নত হবে। চলুন জেনে নিই কী সেই খাবারগুলো।
স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে খাবেন এই জিনিসগুলো-
বাদাম-
বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর। একই সময়ে, বাদামে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, বাদাম ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদাম খেলেও স্থূলতা বাড়ে না। সেই সাথে জেনে রাখা ভালো যে সবসময় ভিজিয়ে বাদাম খান।
আখরোট-
আখরোট মস্তিষ্কের জন্য সুপারফুডের মতো কাজ করে। আখরোটে পাওয়া ওমেগা-৩ অ্যাসিড, যাকে বলা হয় আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। নিয়মিত আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আখরোট মানসিক চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। আখরোট মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে। যারা নিয়মিত আখরোট খান তারা বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্ক ও স্মৃতি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম।
তিসি এবং কুমড়োর বীজ-
ভিটামিন কে, এ, সি, বি৬, আয়রন, জিঙ্ক, (ভিটামিন কে, এ, সি, বি৬, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি) তিসি এবং কুমড়ার বীজে পাওয়া যায়। যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। আপনি এটি বিভিন্ন উপায়ে সেবন করতে পারেন। মূলত দুভাবে তিসি বীজ খাওয়া যেতে পারে। এক তো নিয়মিত ২-৩ চামচ করে তিসি বীজের গুঁড়ো খেতে পারেন। আর যদি গুঁড়ো খেতে মন না চায়, তাহলে তিসি বীজ থেকে তৈরি তেলও খাওয়া চলতে পারে।
কাজু -
কাজু খেলে স্মৃতিশক্তিও ভালো হয়। প্রোটিন, ভিটামিন সি-এর মতো পুষ্টি উপাদান কাজুতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেলে পরিপাকতন্ত্রও শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে প্রতিদিন কাজু খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। কাজুতে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্য়াটি অ্য়াসিড এলডিএল কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য় করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমে।
কাজুতে থাকে বেশ ভাল মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম। এই ম্যাগনেশিয়াম আমাদের শরীরের পাচকরসজনিত ৩০০টি ক্রিয়ার ওপর কাজ করে। এর ফলে মেটাবলিজম বাড়ে। এছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনের সংশ্লেষ হয় শরীরে। পেশির রিলাক্সেশন এবং নিউরোমাসকুলার ট্রানমিশনে ম্যাগনেশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর আগেই বলেছি, কাজুতে ভাল পরিমাণে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। গবেষকরা জানিয়েছেন, পরিমিত মাত্রায় কাজু খেলে তা ওজন তো বাড়ায় না, বরং তা ওজন সঠিক মাত্রায় সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- চুল ভালো রাখতে কালো জিরে ব্যবহার করুন, জেনে নিন কীভাবে প্যাক বানাবেন
আরও পড়ুন- এক কাপ গরম চা শুধু নয়, সারাদিন আপনাকে ফ্রেশ রাখতে পারে এই খাবারগুলোও
আরও পড়ুন- কোন লক্ষণগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার সুগার বেড়েছে, জেনে নিন এক ক্লিকে