আসল বলে নকল মাস্ক বিক্রি, কীভাবে চলছে জাল কারবার

  • বাজারে করোনা আতঙ্কের পরিবেশ
  • ভয়কে কাজে লাগিয়ে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি
  • কালোবাজারি শুরু করেছে একদল ওষুধের দোকান
  • পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেইসব প্রতারক  


বাজারে করোনা আতঙ্কের পরিবেশ কাজে লাগিয়ে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি করে কালোবাজারি শুরু করেছে একদল ঔষধ দোকানি। ৫০ থেকে ১০০টাকার জিনিস ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে লোকজনকে। তাদের বিশ্বাস করানো হচ্ছে এটাই প্রকৃত করোনা প্রতিরোধক।

বান্ধবীর থেকেই সংক্রমণ, কলকাতার আক্রান্তকে নিয়ে নতুন চিন্তায় ডাক্তাররা

Latest Videos

এই খবর পাওয়ার পরই মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযান চালায় শহরের বিভিন্ন ঔষধ দোকানে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের বটতলা চক থেকে কালেক্টরেট মোড় পর্যন্ত বেশ কিছু দোকানে অভিযান চালায়। কোথায় কি ধরনের মাস্ক পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করেন। শেষে একটি দোকান থেকে নকল এন ৯৫ মাস্ক ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রির সময় ধরা পড়ে যায় এক ঔষধ দোকানের মালিক। সেটি পুরোপুরি ভুয়ো। ধরা পড়ে সেগুলি সাড়ে চারশো থেকে শুরু করে আরো চড়া দামে বিক্রি করছিল খদ্দেরদের। পুলিশ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

স্টেজ- ২ তে কলকাতার করোনা আক্রান্ত, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাই বাঁচাতে পারে

সম্প্রতি মাস্কের কালোবাজারি আটকাতে শহরজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইবি। রবিবার  শ্যামবাজার মেডিকেল স্টোরে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কলকাতা পুলিশের এমন পদক্ষেপে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে ব্যাবসায়ীরা জানাচ্ছেন,বাইরে থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাস্ক। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা দিয়ে মাস্ক কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। মাস্কের কালোবাজারি রুখতে পুলিশের উচিত, পাইকারি বাজারে হানা দেওয়া। তাহলেই সমস্যা মিটবে।

শহরে প্রথম করোনা রোগীর শরীরে নেই কোনও উপসর্গ, খোঁজ শুরু হল আক্রান্ত তরুণের সহযাত্রীদের

এদিকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১২৫ ছাড়িয়েছে। সার্কদেশগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের কথা বলে জরুরি ফান্ড তৈরির জন্য় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সার্কভুক্ত দেশগুলিতে করোনা প্রতিরোধে  ১ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরামর্শ দিয়েছেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে৷ 

যদিও হঠাৎই এই অত্যাবশ্যক পণ্য়গুলি বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। যা নিয়ে চলছে কালোবাজারি। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্য দরকার N-95 মাস্ক৷ কিন্তু এই মাক্স তো পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। সাধারণ সার্জিক্য়াল মাস্ক পেতেই সমস্য়ায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, কোথাও মাস্ক পাওয়া গেলেও তা কিনতে ৩০০-৪০০টাকা দিতে হচ্ছে। ২০ টাকার মাস্ক বিক্রি  হচ্ছে ৬০ টাকায়। এদিকে  বিক্রেতাদের দাবি, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ নেই৷ এখন ওষুধের দোকানে যে সব ক্রেতা আসছেন,তাদের একটাই চাহিদা মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার৷ 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results