সঞ্জীবকুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: মিথেন গ্যাস নাকি অন্যকিছু? রহস্যভেদ করতে এবার হলদিয়ার খড়িবেড়িয়া গ্রামে গেলেন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন বা আইওসি-র প্রতিনিধিরা। সংগ্রহ করলেন নমুনা।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পরিচয় হওয়া তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ-ব্ল্যাকমেল, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
ঘটনার সূত্রপাত অগাস্ট মাসে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহায়তায় একটি গভীর সাব মার্সিবল পাম্প বসানো হয় সুতাহাটার গুয়াবেড়িয়া অঞ্চলের খড়িবেড়িয়া গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, দিন কয়েক পর তাঁরা দেখেন, পাম্পটির চারপাশ থেকে বুদবুদের আকার গ্যাস বেরোচ্ছে। সেই গ্যাসে আবার আগুনও জ্বলছে! এরপর পাম্পের গোড়া থেকে পাম্প লাগিয়ে রান্নার কাজে গ্যাসটি ব্যবহার করতে শুরু করেন অনেকেই। দেখা যায়, গ্যাসের ওভেনের উপর হাঁড়ি বসে দিলেই দিব্যি জল ফুটছে। ব্যাস আর কী! খবর চাউর হতেই ওই সার মার্সিবল পাম্প চত্বরটি কার্যত কমিউনিটি কিচেনে পরিণত হয়। স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য অবশ্য মাটি থেকে নির্গত ওই গ্যাস ব্যবহার না করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সেকথা আর শুনছে কে!
আরও পড়ুন: চাপের মুখে ভোলবদল, বিধানসভা ভোটে 'অপদার্থ' কৃষিমন্ত্রীকে প্রার্থী ঘোষণা অনুব্রতের
শনিবার সকালে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খড়িবেড়িয়া গ্রামে যায় ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের এক প্রতিনিধিদল। নমুনা সংগ্রহ করাই শুধু নয়, গ্য়াসের চাপও মেপে দেখেন তাঁরা। আইওসি-এর প্রতিনিধিদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে সাত কিমি দূরে মাটির নিচে রয়েছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের পাইপ লাইন। কিন্তু সেই পাইপে লিক হওয়ার কোনও খবর নেই। মাটির থেকে নির্গত হওয়া গ্যাসের সঙ্গে পাইপলাইনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে? প্রাথমিকভাবে অনুমান, গ্যাসটি মিথেন জাতীয় কিছু হবে। সত্যিই যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে দু'একদিনের মধ্যে গ্যাসটি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি জীবাশ্ম জ্বালানি হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন আইওসির প্রতিনিধিরা। তখন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।