ফিরে গেল আড়াই কোটি, রেলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে পুরসভা

  • ব্যবহার না হওয়ায় আড়াই কোটি টাকা ফেরাতে হচ্ছে খড়্গপুর পুরসভাকে
  • শৌচাগার নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার
  • রেলের জমিতে শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা করেছিল পৌরসভা
     

debamoy ghosh | Published : Feb 12, 2020 6:17 AM IST / Updated: Feb 12 2020, 12:15 PM IST

একেই বলে যত দোষ , নন্দ ঘোষ। খড়্গপুর পৌরসভারও তেমনই অবস্থা। নিজেদের সমস্ত ব্যর্থতা অনায়াসে রেলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। সম্প্রতি আড়াই কোটি টাকা পৌরসভাকে সরকারের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে জেলা পরিকল্পনা দপ্তর। দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পৌরসভার অন্তর্গত ১১ হাজার ২০৬ টি পরিবারে  সুলভ শৌচাগার বানাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ করেছিল, সেই টাকার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি পুরসভা। সুতরাং যে টাকার কাজ হয়নি সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। অঙ্কের মূল্যে ওই টাকার পরিমাণ ২কোটি ৪০ হাজার। 

খড়্গপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, দুই সরকার মিলে বরাদ্দ হয়েছিল ৮ কোটি ৯৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। সেই টাকায় ৮ হাজার ১০০টি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে অথবা নির্মাণের কাজ চলছে। বাকি ৩ হাজার পরিবার চিহ্নিত করতে পারেনি পুরসভা। 

পুরসভার দাবি, রেলের জমিতে তারা ওই শৌচাগার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রেলের বাধায় তা হয়ে ওঠেনি। এটা ঘটনা যে রেল এলাকায় কাজ করতে হলে রেলের বাধার মুখে পড়তে হয় পুরসভাকে। প্রশ্ন হলো, জমি যখন রেলের তখন তাদের সঙ্গে কথা না বলে প্রকল্পের জন্য কীভাবে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠালো পুরসভা? কারণ সরকারের তরফ শর্তই দেওয়া হয়েছিল, নির্মল পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে কোথায় কোথায় শৌচাগার করার দরকার তার পরিকল্পনা পুরসভাই করবে। 

বিরোধীরা বলছেন, এমনটাও নয় যে পুরসভার বাকি অংশে গরিব পরিবারগুলিতে শৌচাগার হয়ে উদ্বৃত্ত হওয়ায় রেল এলাকায় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিরোধী কাউন্সিলাররা বলছেন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র পল্লি, দিনেশ নগর এবং তালবাগিচা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কৌশল্যা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মালঞ্চ, প্রভৃতি এলাকায় হাজার হাজার পরিবার রয়েছে যাদের সুলভ শৌচাগার পেলে উপকার হতো। কিন্তু অভিযোগ, বর্তমান পুরবোর্ড বিরোধী কাউন্সিলরদের এলাকায় উন্নয়নের কাজই করতে চায়না। তাঁদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়না, সরকারি পরিকল্পনাগুলিও জানানো হয়না। যদি হতো তবে এই টাকা ফেরত পাঠাতে তো হতই না বরং এই খাতে আরও টাকা বরাদ্দ হতে পারত।

Share this article
click me!