করোনাভাইরাস নিয়ে সঙ্কট পর্বে জেলাজুড়ে বিবিধ প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। লকডাউনের জেরে খাদ্য সামগ্রী মজুদকরণ শুরু করেছে সাধারন মানুষ। লকডাউন আইন ভেঙে সকলেই বাজারে ভিড় শুরু করেছেন বেশি করে খাদ্য মজুদ করতে। তার জেরে বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সবজির মত জিনিসপত্রের দাম। সামাল দেওয়ার জন্য মাঠে এবার নামলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন, সংক্রমণ রুখতে সংশোধনাগারে বড়সড় পদক্ষেপ, রাজ্য়ে 'করোনা' মুক্তি ৩০৭৮ বন্দীর
শনিবার বিকেলে প্রশাসনিক বৈঠক করে জেলা স্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ও অন্যান্য সামগ্রী মোবাইল ভ্যানে করে জেলার বিভিন্ন প্রধান প্রধান স্থান গুলিতে কম মূল্যে বিক্রি করবে কৃষি বিপণন দপ্তর। সেইমতো রবিবার সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক দপ্তরের সামনে কালেক্টরেট মোড়ে মোবাইল ভ্যানে করে বিভিন্ন সবজি কম মূল্যে বিক্রি করা শুরু হয়। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম মেনে সেই সমস্ত সবজি কিনতে লাইন দেন সাধারণ মানুষ।অপরদিকে, রবিবার জেলা প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে মেদিনীপুর শহরের বড় বড় সবজি বাজার গুলিকে ভিড় কমানোর জন্য নিকটবর্তী বিভিন্ন খেলার মাঠ ও বড় মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার সকাল থেকে সেই মতো সেই মাঠ গুলিতে সবজি নিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু তা হলেও দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানেনি কেউই। ভিড় বেড়েছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। ভাইরাসের তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো করে, পুলিশকে উপেক্ষা করেই কেনাকাটা শুরু করেছিল ৷
আরও পড়ুন, এবার করোনা আক্রান্ত উত্তরবঙ্গে, রাজ্য়ে সংখ্যা বেড়ে ১৮
এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার পর নিয়ম মেনে বাজার গুলি কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক উত্তম অধিকারী সহ মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ। কোতোয়ালি থানার পুলিশকে নিয়ে সমস্ত সবজি বাজার গুলি ঘুরে নিয়ম মেনে বাজার করার জন্য নির্দেশ দেন সকলকে। উত্তম অধিকারি বলেন- 'মানুষের ভীড় কমাতে এই উদ্যোগ ৷ তবে সর্বত্র প্রথমদিন 'দূরত্ব পদ্ধতি' একসঙ্গে না করা গেলেও পরপর সব হয়ে যাবে'।
আরও পড়ুন, এগড়ায় বিয়েবাড়ি থেকে দুই মহিলার করোনা ! নয়াবাদের আক্রান্ত থেকেই সংক্রমণ