পাক-পঞ্জাবে ধ্বংস ঐতিহাসিক 'গুরু নানক প্রাসাদ'! উদাসীন সরকার

  • দুষ্কৃতীদের হাতে ধ্বংস হতে বসেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত 'গুরু নানক প্রাসাদ'
  • সম্প্রতি কিছু লোক দলবল নিয়ে এসে ঐতিহাসিক ভবনটি প্রায় গুঁড়িয়ে দেয়
  • বিক্রি করে দেওয়া হয় মূল্যবান দরজা-জানলা। এই নিয়ে পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন

দুষ্কৃতীদের হাতে ধ্বংস হতে বসেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন 'গুরু নানক প্রাসাদ'। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছু লোক দলবল নিয়ে এসে ওই ঐতিহাসিক ভবনটি প্রায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তারপর তার মূল্যবান দরজা-জানলা বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে পাকিস্তানের সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন বলেই জানিয়েছে সেই দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র 'দ্য ডন'।

তাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পাক পঞ্জাবের নারওয়াল সিটির এক গ্রামে অবস্থিত চার তল বিশিষ্ট ওই প্রাসাদে প্রায় ১৬টি ঘর ছিল। প্রতি ঘরে গড়ে অন্তত তিনটি করে দরজা ও জানলা ছিল। পুরনো ইঁট, বালি, মাটি এবং  চুনাপাথরে তৈরি মোটা মোটা দেওয়ালে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরুনানক ছাড়াও বিভিন্ন হিন্দু রাজা-রাজরাদের ছবি ছিল। ছাদ ধরে রাখার জন্য দামী কাঠের কড়ি-বরগাও ছিল।

Latest Videos

ভবনের তিনটি তলই প্রায় ধূলিস্মাত করে দেওয়া হয়েছে। আর এতে ওয়াকাফ বিভাগের পরোক্ষ সম্মতিও ছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে কাঠের তৈরি দরজা জানলার পাল্লা, কড়ি -বরগার রকাঠ খুলে নিয়ে গিয়ে বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বর্তমানে, ওই ভগ্নস্তূপের উপর নতুন করে বাড়ি ঘরও তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা মহম্মদ আসলাম জানিয়েছেন, পুরনো ওই ভবনটি 'গুরু নানক প্রাসাদ' নামে পরিচিত হলেও তার স্থানীয় নাম 'মহালন'। প্রতি বছর ভারত থেকে তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ওই ভবনটি দেখতে আসেন। তাঁদের রকাছে অত্যন্ত পবিত্র ওই ভবন। শিখ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষই বাড়িটির সামনে এসে প্রায় গুপ্তধন আবিষ্কারের আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই পর্ষটনের হাত ধরে স্থানীদেরও দু পয়সা আমদানী হতো।

বাড়িটি ধ্বংসের পর স্তানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ওয়াকাফ বিভাগে খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনওরকম পাত্তাই দেননি। কেউ একবার এসে দেখে যাওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি। এমনকী বাড়িটির আইনি মালিকানা কার হাতে তাও বলতে কারোর জানা নেই।

নারওয়ালের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, কর বিভাগের কাছে ওই বাড়িটির কোনও রেকর্ড নেই। মিউনিসিপাল কমিটির কাছে ঐতিহাসিক ভবন হিসেবে কোনও রেকর্ড, আছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে, তাদের আওতায় থাকলে, ভবনটির যারা ক্ষতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই অবস্থায় স্থানীয় মানুষ এই বিষয়ে পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁদের দাবি ইমরান দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

টোটোর ভাড়া চাইতেই এইরকম কাণ্ড! দেখলেই আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Malda-এ | Malda News Today
গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মুখে! Bangladeshi Infiltration কবে থামবে? | Gede Border | Rohingya
কি বললেন? সুকান্তকে পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Sukanta Majumdar | Bangla News
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia