লাদেনকে রক্ষা করেছেন ইমরান, আশ্রয় দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদীদের, রাষ্টসংঘের মঞ্চ কাঁপালেন বিদীশা

  • রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদে পাক প্রধানমন্ত্রী টেনেছিলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ
  • কয়েক ঘন্টা বাদেই তার সমুচিত জবাব দিল ভারত
  • রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী মিশনে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র তীব্র আক্রমণ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রীকে
  • লাদেন-কে রক্ষা করা থেকে ১৩০ জন জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি

 

amartya lahiri | Published : Sep 28, 2019 12:57 PM IST

রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী টেনে এনেছিলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তার কয়েক ঘন্টা বাদেই তার একেবারে সমুচিত জবাব দিল ভারত, বা বলা ভাল রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী মিশনে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তিনি দাবি করলেন, ইমরান ৯/১১ হামলার মূল মাথা ওয়ামা বিন লাদেন-কে রক্ষা করেছেন। এছাড়া রাষ্ট্রসংঘের চিহ্নিত ১৩০ জন জঙ্গি ও ২৫টি জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছেন। কাজেই ভারতকে সন্ত্রাসবাদ ও মানবাধিকার নিয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার নেই পাকিস্তানের।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্র সংঘের উত্তর দেওয়ার অধিকার-কে ব্যবহার করে কী কী বললেন বিদীশা মৈত্র -

প্রথমেই তিনি ইমরানের বক্তৃতাকে সুযোগের অপব্যবহার বলে দেগে দেন। তিনি প্রশ্ন করেন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা কি ইমরান অস্বীকার করতে পারবেন?

ইমরানের ভাষণে যে 'সাম্প্রদায়িক হিংসা', 'রক্তগঙ্গা', 'জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব', 'বন্দুক তুলে নেওয়া, 'শেষ পর্যন্ত লড়াই'-এর মতো বাক্যবন্ধগুলি এসেছিল, তাকে তিনি মধ্যযুগীয় বলে অভিহিত করেন। পাক প্রধানমন্ত্রী যে একসময় ক্রিকেটার চিলেন তা মনে করিয়ে দিয়ে বিদীসা বলেন, একসময় পাক প্রধানমন্ত্রী জেন্টলম্যান্স গেমে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু সাধারণ পরিষদে তাঁর ভাষণে যে নির্মমতা ফুটে উঠেছে তা 'দারা আদম খেল'-এর বন্দুকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

নিজের ভাষণে ইমরান রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষকদের পাকিস্তানে এসে সেখানে আর কোনও জঙ্গি সংগঠন অবশিষ্ট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানান। সেই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদীশা জানান, তার আগে রাষ্ট্রসংঘের চিহ্নিত ১৩০ জন সন্ত্রাসবাদী ও ২৫টি জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানে আছে এই তথ্য সঠিক কিনা তা জানাতে হবে পাকিস্তানকে।

তিনি আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দাবি করেন, পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদ ও ঘৃমামূলক মন্তব্যকে মূল স্রোতে জায়গা দিয়েছে। কিন্তু তারাই আজ মানবাধিকারের রক্ষী সাজতে চাইছে। এই প্রসঙ্গেই পাকিস্তানে সংখ্যাঘুদের দুরবস্থার কথা তোলেন বিদীশা মৈত্র। ১৯৪৭ থেকে আজকের দিনে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশ নেমে এসেছে - এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

ভারতীয় সেক্রেটারি বলার আগে বাংলাদেশের প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাকিস্তানের গণহত্যা চালানো ও তাতে জেনারেল নিয়াজির জঘন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বিদীশা মৈত্র, তাঁর বক্তব্যে সেই প্রসঙ্গ তুবলে বলেন, ইমরানের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার আগে সেই ইতিহাস ভাল করে জানা উচিত।

ভারত সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর বলেও রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাবি করেন তিনি। জানান, দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠতে চায় পাকিস্তান, তাই শান্তির সামান্য রেখাকেও তারা মেনে নিতে পারে না।

 

Share this article
click me!