মুসলিমরা অত্যাচারিত ,ভারতের বলে বাংলাদেশের ভিডিয়ো পোস্ট ইমরানের

  • ভারতে মুসলিমদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের ভিডিয়ো প্রকাশ
  • এবার পাকিস্তানকে অসম্মানের কারিগর খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী
  • ভারতকে ছোট করতে গিয়ে বাংলাদেশের ভিডিয়ো প্রকাশ করেন তিনি
  •  পরে ভুল বুঝতে পেরে টুইটার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সেই ভিডিয়ো
     

ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। এবার পাকিস্তানকে অসম্মানের কারিগর খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরাম খান। ভারতে মুসলিমদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের ভিডিয়ো প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলাদেশের ভিডিয়ো প্রকাশ করেন তিনি। পরে ভুল বুঝতে পেরে টুইটার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সেই ভিডিয়ো। 

নিজেদের ভুল ঢাকতে ভারতকে আক্রমণের রাস্তা নিয়েছিল পাকিস্তান। উল্টে তাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বদনাম হল ইমরান খানের দেশ। শুক্রবার শিখদের ধর্মগুরু নানকের জন্মস্থান পাকিস্তানের নানকানা সাহিব-এর আক্রান্ত হয় গুরুদ্বার। গুরুদ্বারে শিখদের আটকে রেখে বাইরে থেকে হামলা চালানো হয়। গুরুদ্বারকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। যার প্রতিবাদে এদিন কড়া ভাষায় বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। যার পাল্টা ভারতে মুসলিমদের ওপর পুলিশি নির্য়াতনের ভিডিয়ো প্রকাশ করে পাক প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল।

Latest Videos

যেখানে লেখা হয়,"Indian police's pogrom against Muslims in UP".কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিযো পাল্টা অস্বস্তি বাড়ায় ইসলামবাদের। শীগ্রই ইউটিউব থেকে ওই ভিডিয়োর উৎস খুঁজে বের করে নেটিজেনরা। দেখা যায়, আসলে মুসলিমদের ওপর ওই অত্যাচারের ভিডিয়ো বাংলাদেশের ঢাকার। ২০১৩ সালে Bangladesh police brutality of Hefazat-e-Islam 3",নামের ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। দ্রুত ইমরানের দেশকে জবাব দেয় সোশ্যাল মিডিয়া। পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভুয়ো ভিডিয়ো প্রকাশ করার জন্য গালিগালাজ করেন টুইটারাতিরা। 

প্রশাসনিক স্তরেও এ নিয়ে জবাব দেয় ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রীর কীর্তি ফাঁস করতে টুইটারে জবাব দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যেখানে ইমরানের ভিডিয়োর লিঙ্ক দিয়ে দেখানো হয়, ফুটেজটি আসলে ইউপি-র নয়, বাংলাদেশের। চুপ করে বসে থাকেনি দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, পুরোনা স্বভাব ছাড়তে পারল না পাকিস্তান। প্রথমে ভুয়ো খবর প্রকাশ, পরে তা ডিলিট করতে হল। যদিও ভারতের পাল্টা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি পাকিস্তান। 

ঘটনার সূত্রপাত এক শিখ তরুণীকে জোর করে ধর্মান্তকরণ এবং তার পরে তাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে। অভিযোগ, ওই গুরুদ্বারের 'গ্রন্থি'-র দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তির মেয়ে জগজিৎ কউরকেই জোর করে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে করে নেয় মহম্মদ হাসান নামে এক তরুণ। হাসানের দাদার নেতৃত্বেই বিক্ষোভ শুরু হয়। একটি ভিডিও-তে তাকেই গুরুদ্বার ভেঙে দিয়ে সেখানে মসজিদ গড়ার হুমকি দিতে শোনা যায়। সে আরও বলে,ওই শহরে আর একজন শিখকেও থাকতে দেওয়া হবে না বলে রীতিমতো হুঁশিারি দেয় হাসানের ভাই। নানকানা সাহিবের নাম বদলে গুলামান-এ- মুস্তাফা করারও দাবি জানায় সে। এরপরই হাসানের পরিবারের নেতৃত্বে গুরুদ্বারে  হামলা করা হয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

ইয়ার্কি হচ্ছে! এতদিন ধরে বালু পাচার হচ্ছে আর উনি জানেন না! Mamata-কে তুলোধোনা Sukanta-র
‘২৬ এর নির্বাচনই তৃণমূলের শেষ নির্বাচন!’ Samik-এর সাবধানবাণী Mamata-কে, দেখুন | By Election Results
Live : India vs Australia: রাহুল-যশস্বীর ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন, অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই দাপট
ভেঙে পড়ার কারন নেই! কেন BJP-র হার, জানালেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | BJP News
চলন্ত বাসে দুঃসাহসিক ছিন্তাই! চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায় | South 24 Parganas News Today