ডামাডোল জারি পাকিস্তানে, তিন মাসের মধ্যে ভোট করাতে পারবে না নির্বাচন কমিশন

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আইনি, সাংবিধানিক এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের কারণে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে অপারগ।

Parna Sengupta | Published : Apr 5, 2022 11:35 AM IST

এখনই ভোট করানো সম্ভব নয়। তবে শুধু এখন নয়, আগামী তিন মাসে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার পরিষ্কার জানিয়ে দিল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ আপাতত রাজনৈতিক ডামাডোল দেশ জুড়ে চলবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আইনি, সাংবিধানিক এবং লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের কারণে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে অপারগ।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বরখাস্ত করার কয়েক মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার তিন মাসের মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের সুপারিশ করেন। সার্কুলার জানাচ্ছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে অনুচ্ছেদ ৫৮(১) এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন পাক রাষ্ট্রপতি। এরফলে কোনও ভাবেই আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নেই ইমরান খান।  

Latest Videos

প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি খানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নোটটিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী নন এবং সরকার দেশের আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে। 

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যালট পেপারের ব্যবস্থা করার জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। 'ওয়াটার মার্ক' এর পরিবর্তে সিকিওরিটি ফিচারস যোগ করা হবে। আধিকারিক বলেছেন যে কমিশন ইতিমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার (এলজি) নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে, ২৯ মে ভোটের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছে, যখন পঞ্জাব, সিন্ধু এবং ইসলামাবাদে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।

তাই দেশ জুড়ে সাধারণ নির্বাচন করানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব রয়েছে। নির্বাচনী সামগ্রী সম্পর্কে কমিশন জানিয়েছে, প্রায় এক লক্ষ ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রায় দুই মিলিয়ন স্ট্যাম্প প্যাডের প্রয়োজন হবে। আইনি বাধার কথা উল্লেখ করে, এক আধিকারিক বলেন যে নির্বাচন আইনের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন ভোটের চার মাস আগে একটি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। 

এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বেশ কিছু সাংবিধানিক ও আইনি জটিলতার কারণে আগাম নির্বাচন একটি মসৃণ প্রক্রিয়া হতে পারে না। যে কোনো নির্বাচনের বৈধতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে নির্বাচন কমিশনের লোকবলের অসম্পূর্ণতা, কারণ পঞ্জাব এবং কেপি থেকে ইসিপি সদস্যদের এখনও নিয়োগ করা হয়নি।

Share this article
click me!

Latest Videos

৫০০০ টাকা ধার শোধ করতে না পারায় যা ঘটল! দুপক্ষই থানার দ্বারস্থ | Berhampore News Today | Bangla News
Live: আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা বিজেপির, দেখুন সরাসরি
সিঙ্গুরের রাস্তায় জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রায় পা মেলালেন সাংসদ রচনা ব্যানার্জী! | Jagadhatri Puja 2024
Virat Kohli: ৫০ ফুটের বিরাট! কোহলির ৩৬ তম জন্মদিন পালনে সাঁতরাগাছিতে মহোৎসব! | Howrah News Today
ঘটনাকে চাপছে কারা! কার ভয়ে মুখ খুলছে না সঞ্জয়! ভালো করে দেখুন | RG Kar Case | Kolkata Doctor News