'ঋতুমতী হলে নাবালিকা বিবাহও বৈধ', পাক আদালতেই চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু নাবালিকা

ফের সংখ্যালঘুদের উপর ধর্মীয় নির্যাতন।

এক নাবাবিকা-কে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করল অপহরণকারী।

নাবালিকা হলেও বিয়েটি বৈধ বলে রায় দিল সিন্ধ হাইকোর্ট।

কারণ সে ইতিমধ্যেই ঋতুমতী হয়েছে।  

 

ফের চরম ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার এক ১৪ বছরের পাকিস্তানি সংখ্যালঘু কিশোরী। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এই কিশোরীকে প্রথমে অপহরণ করা হয়, তারপর জোর করে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করিয়ে অপহরণকারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে সিন্ধ হাইকোর্টে মামলা করা হলে, আদালত রায় দিয়েছে, মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও তার প্রথম ঋতুস্রাব হয়ে গিয়েছে। তাই শরীয়া আইন অনুসারে তার বিবাহ বৈধ।

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর অক্টোবর মাসে। হুমা নামে ওই ১৪ বছর বয়সী খ্রীস্টান কিশোরীকে অপহরণ করে আবদুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি। তারপর হুমাকে সে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে বলে অভিযোগ করেছেন হুমার বাবা-মা, ইউনিস ও নাগিনা মাসিহ। এই নিয়ে নাবালিকা বিবাহের অভিযোগ করে তাঁরা সিন্ধ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। আদালত গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে পুলিশকে হুমার বয়স নিশ্চিত করার জন্য দরকারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়। তবে সেইসঙ্গে বিচারক মহম্মদ ইকবাল কালহোরো ও বিচারক ইরশাদ আলি তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানান, শরিয়া আইনের আওতায় হুমা অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও অপহরণকারী জব্বার-এর সঙ্গে তার এই বিবাহ বৈধ। কারণ ইতিমধ্যেই সে ঋতুমতী হয়েছে।

Latest Videos

শুক্রবার, নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী তবস্সুম ইউসুফ জানিয়েছেন, মূলত হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাবালিকাদের জোর করে বিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সিন্ধ বাল্যবিবাহ বিধিনিষেধ আইন পাস করা হয়েছিল। এই আইন অনুসারে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ নিষিদ্ধ। কাজেই সিন্ধ হাইকোর্টের শরিয়া আইন যুক্তি খাটে না। এই নিয়ে তাঁরা এবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিচার চাইবেন।

ওই আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, হুমার বাবা-মা মনে করছেন পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা আবদুল জব্বার ও তাঁর পরিবারের পক্ষেই রয়েছেন। কাজেই হুমার বয়সের পরীক্ষার নকল ফলাফল দিয়ে তাকে জব্বারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে গির্জা এবং হুমার স্কুলের নথিপত্র যাচাই করলেই  স্পষ্ট বোঝা যাবে তার বয়স ১৪ বছর। আপাতত তাকে একটি সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। হুমার বাবা-মা তার বয়স নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত হুমাকে, অভিযুক্ত জব্বারের থেকে দূরে রাখার জন্য আদালতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

সিন্ধ প্রদেশ হিন্দু খ্রিস্টান সম্প্রদায় অধ্যুষিত। তাই এই প্রদেশে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বি.য়ের ঘটনাও অনেক বেশি। গত এক মাসেই দুইজন হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ এবং বিবাহের মামলার কথা জানা গিয়েছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতি ঢাকতে আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে' কর্মবিরতির ঢাক দিয়ে বললেন চিকিৎসকরা
'স্বাস্থ্য দফতরের দায় এড়ানোর জঘন্য অপচেষ্টা', পাল্টা মমতার দিকেই আঙ্গুল জুনিয়র ডাক্তারদের
পড়ুয়াকে Bangladeshi বলে অপমান! স্কুলে ভর্তি হওয়ায় বাঁধা, তীব্র চাঞ্চল্য Nadia-র Kalyani-তে
কেমন আছেন Saif Ali Khan? দেখতে গেলেন Kareena Kapoor Khan! দেখুন #shorts #shortsfeed #shortsvideo
‘Mamata Banerjee-কে Saokat Molla মারতে গিয়েছিল’ বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র, দেখুন