অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরপরই, পঞ্জাব পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে ফোন আসতে শুরু করে। তবে পুলিশ আর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি এবং কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয়।
বাবার নাম ইমরান খান। সেই ছেলের কোনও দোষ থাকতে পারে কি? দোষ থাকলেও তাকে ঢাকার হাজার রাস্তা বেরিয়ে আসতে কতক্ষণ। ঠিক তেমনই ঘটল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ধরা পড়লেন নিষিদ্ধ মাদক গাড়িতে নিয়ে ঘোরার জন্য। ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে। তবে বেশিক্ষণ নয়। উচ্চস্তরের আধিকারিকদের অঙ্গুলি হেলনে থানা থেকে বেরোতে কয়েক ঘন্টাও সময় নিলেন না তিনি।
ইমরান খানের (Pakistan Prime Minister Imran Khan) সৎ ছেলে (step son) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গাড়িতে মদ রাখার মামলা (case of possession of liquor) দায়ের করে পুলিশ। কারণ পাকিস্তানে মদ পান করা (consumption of alcohol), বিক্রি করা নিষিদ্ধ (illegal)। সেই অপরাধেই অভিযুক্ত ইমরান খানের সৎ ছেলে। ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির প্রথম বিয়ে থেকে ছেলে মুসা মানেকা এবং তার দুই বন্ধুকে সোমবার গদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গাড়ি থেকে মদ উদ্ধার হয়।
তবে বেশিক্ষণ থানায় আটকে রাখা যায়নি মানেকাকে। কিছু ফর্মে সই করেই খালাস হয়ে যান তিনি। প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের থেকে ফোন পাওয়ার পরেই ইমরানের ছেলেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ অফিসাররা। ছেড়ে দেওয়া হয় বাকি তিন যুবককেও।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার জানান, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরপরই, পঞ্জাব পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে ফোন আসতে শুরু করে। তবে পুলিশ আর কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি এবং কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয়। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডির ছেলে। উল্লেখ্য, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন ছিল। গত সপ্তাহে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রীর মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর প্রচার শুরু হয়। বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারাহ খান টুইটারে ঘোষণা করেছিলেন যে ফার্স্ট লেডি তার স্বামীর সাথে তাদের বানি গালার বাসভবনে রয়েছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে, পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই বিতর্কের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাশিয়া টুডেকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেন, 'আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিতর্কে অংশ গ্রহণ করতে চাই।' তারপরই তিনি বলেন যদি দুই দেশের মধ্যে যাবতীয় মতপার্থক্য দূর হয়ে যায় তাহলে ভারতীয় উপমহাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের যথেষ্ট উপকার হবে।