সেনা বহরে জঙ্গি হামলা, পাকিস্তানি কোর্টে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নয় জঙ্গি

Published : Feb 15, 2020, 03:03 PM ISTUpdated : Feb 15, 2020, 03:15 PM IST
সেনা বহরে জঙ্গি হামলা, পাকিস্তানি কোর্টে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নয় জঙ্গি

সংক্ষিপ্ত

নয়জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল পাকিস্তান। দুই অভিযুক্তকে খালাস দিল সিন্ধ হাইকোর্ট। ২০০৪ সালে করাচিতে এক শীর্ষস্থানীয় পাক সেনা কমান্ডারের বহরে হামলা চালানো হয়েছিল। আগে মোট ১১ জন-কে এই মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।  

সেনাবহরের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর অভিযোগে নয়জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল পাকিস্তানের সিন্ধ হাইকোর্ট। ২০০৪ সালে করাচির ওই হামলার ঘটনায় ছয় সেনা সদস্যসহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই মোট ১১ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েথছিল আদালত। কিন্তু, তারা সকলেই এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানির শেষেই এদিন তার মধ্যে নয়জনের ক্ষেত্রে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখল সিন্ধ হাইকোর্ট।

২০০৪ সালে করাচির ক্লিফটন ব্রিজের কাছে এক শীর্ষস্থানীয় পাক সেনা কমান্ডারের কনভয়ের উপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে ৬ সেনা সদস্যের পাশাপাশি ছিলেন ৩ জন পুলিশ সদস্য-ও। আর একজন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।

২০০৪ সালের ওই হামলার এই জঘন্য হামলার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন তালিবান নেতা নেক মহম্মদ। ওই বছরই উত্তর ওয়াজিরিস্তানে এক সামরিক অভিযানের তার মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার করাচিতে সিন্ধ হাইকোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য আসে। ১০ বিচারকের বেঞ্চ ১১ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে নয় আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন। বাকি দুই অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়।

দিন কয়েক আগে হাফিজ সইদ-কে করাগারে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এরপর এতদিন ঝুলিয়ে রাখার পর এই মামলায় নয়জন সন্ত্রাসবাদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। একের পর এক এই জঙ্গি বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে পাকিস্তানের এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামনেই ফের এফএটিএ-এর পর্যালোচনা রয়েছে। পাকিস্তান সেখানে জঙ্গি দমনে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না দেখাতে পারলে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে। এর আগে বেশ কয়েকবারই এফএটিএফ-এর কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার মুখ থেকে ফিরে এসেছে পাকিস্তান। এইবারও সেই ঝুঁকি রয়েছে। ার তা থেকে মুক্ত হতেই পাকিস্তানে এই তৎপড়তা দেখা যাচ্চে বলে মনে করা হচ্ছে। 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

পৃথক সিন্ধুদেশ গঠনের দাবিতে উঠল স্লোগান, ঘরে-বাইরে চাপে শাহবাজ সরকার
দ্বিতীয় বিয়ে করছেন স্বামী! চোখের জলে মোদীর কাছে সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি যুবতী