রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি ইমরান খান। পাকিস্তান সংসদে ইমরান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের। ইমরানের পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে।
পাকিস্তানে ইমরান খানের জমানার পতন হয়। ক্ষমতাসীন জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিরোধী দলে যোগ জেওয়ার পরই বিপর্যয় নেমে এল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবনে। কার্যত ইমরান খান পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। জাতীয় পরিষদে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন ইমরান খান।
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট- পাকিস্তান (MQM-P) ও পাকিস্তাবন তেহরিক ই ইনসাফের জোট সরকার চলছিল পাকিস্তানে। সম্প্রতি এই জোটের সাত জন সদস্য জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তারা বিরোদীদের সঙ্গে হাত মেলায়। তাতেই অস্তিত্ত্ব সংকটে পড়ে যায় ইমরান খানেরষ বিরোধীদের দাবি তাদের পক্ষে ১৭৫ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানের পদত্যাগ করা উচিৎ।
সূত্রের খবর ইমরানের পর পাকিস্তানের মসনদে বসবেন মুসলিম লীগ নওয়াজ এর সভাপতি ও বিরোধী দলবেতা শেহবাজ শরীফ। এমকিউএম-পির সদস্য খালিদ মকবুল সিদ্দিকী বলেছেন তাঁরা পাকিস্তানে সত্যিকারের গণতন্ত্রের সূচনা করবেন। অন্যদিকে শেরিফ বলেছেন পাকিস্তানে এই পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। তবে আনস্থা ভোটের জন্য অপেক্ষা না করে এখনই ইমারানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেনস প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাঁর সামনে পদত্যাগ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। তাঁকে এবার পদত্যাগ করতেই হবে। দ্রুত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আগে ঠিক ছিল পাক প্রধানমন্ত্রী এদিনই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। কিন্তু এই রাজনৈতিক বিপর্যের পর সেই কর্মসূচি বাতিল করেছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ও ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই এর প্রধান আজ খানের সঙ্গে দেখা করেন। সেনা প্রধানই টুইট করে জানিয়ে দেন ইমরান জাতির উদ্দেশ্যে আর ভাষণ দেবেন না। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খান গত এক সপ্তাহ ধরেই সমস্যায় পড়ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁরকাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বিরোধীদের পদত্যাগের দাবি তোলার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকেন। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।