পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা সেদেশেরই বিশেষ আদালত। দেশদ্রোহিতার দায়ে এই সাজা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মুশারফকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
এই মুহূর্তে অবশ্য চিকিৎসার জন্য দুবাইতে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান। ২০০৭ সালে অসাংবিধানিকভাবে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
৭৬ বছর বয়সি মুশারফ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে দুবাই থেকে দেশে ফেরেননি। এর আগে পাকিস্তানের পেশওয়ারের এই বিশেষ আদালত ডিসেম্বরের পাঁচ তারিখের মধ্যে মুশারফকে নিজের বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে দুবাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়েছিলেন মুশারফ।
তিনি বলেছিলেন, 'বিচারবিভাগীয় একটি কমিশন এখানে এসে আমার বক্তব্য শুনতে পারে। তারা আমার শারীরিক অবস্থা দেখেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিতে পারবে। এর পর আদালত আদালত আমার আইনজীবীর সঙ্গে কমিশনের বক্তব্যও শুনে নিক।'
মুশারফ জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এবং জীবনের ঝুঁকি থাকায় ও বৃদ্ধা মায়ের কারণে তিনি এই মুহূর্তে পাকিস্তানে ফিরতে পারবেন না।