দেশে লাফিয় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাতে অবশ্য ভ্রুক্ষেপ নেই ইমরান সরকারের। তার সেই ব্যস্ত রয়েছে ভারত নিয়েই। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে আরও একবার যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে গোলাগুলি শুরু করে পাক বাহিনী। এপার থেকে যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনারাও। যদিও পাক সেনার গুলিতে এক ভারতীয় জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় দূতাবাসের কাছে পাকিস্তান বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করছিল দিল্লি। এবার সব সীমা যেন ছাড়িয়ে গেল। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে ইন্ডিয়ান চার্জ দি ফ্যাফেয়ার গৌরব আলুওয়ালিয়াকে রীতিমত বাইক নিয়ে তাড়া করল এক ব্যক্তি। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিকের গাড়ির পিছনে ছুটে আসছে একটি লোকয বাইকে থাকা ওই ব্যক্তি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সদস্য বলেই জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুদ্ধ নয়াদিল্লি। পাকিস্তানে কর্মরত এদেশের কূটনীতিকদের হেনস্থা করতে আইএসআই-কে ব্যবহার করছে ইমরান প্রশাসন। কূটনীতিকদের হেনস্থা করতে ও কাজে বাধা দিতেই আইএসআই-এর চর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগই করছে দিল্লি।
আরও পড়ুন: লকডাউনের পুরীতে উধাও চেনাছবি, এই প্রথম ভক্ত ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগন্নাথের স্নানযাত্রা
গত ৩১ মে দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই পাক আধিকারিককে আটক করেছিল ভারত সরকার। পাকিস্তান দূতাবাসের ওই দুই কর্মীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেয় বিদেশমন্ত্রক। ভারতের পদক্ষেপের পর থেকেই পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করে চলেছে। তারপর থেকেই পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকদের হেনস্থাও বেড়ে যায় সেদেশে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে পাক সরকারকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে জানান হয়েছে, রাস্তায় বেরলে অকারণে কূটনীতিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে হুজ্জুতি করছেন পুলিশকর্মীরা। প্রশাসণের এমন আচরণের জেরে স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন না ভারতীয় আধিকারিকরা।
ভারত ২ পাক কূটনীতিককে আটক করায় পয়লা জুন আলুওয়ালিয়াকে ডেকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। পাকিস্তানের দাবি ছিল, তাদের দেশের হাইকমিশনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে ভারত তা ভিত্তিহীন। এর আগে অবশ্য ২০১৬ সালে গুপ্তপচবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানও এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। এদিকে পাকিস্তান ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে যে আচরণ শুরু করেছে তা ১৯৯২ সালের কূটনীতিকদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির।