অনেক সময় মা-বাবা ভুলেও ভাই-বোনের (Siblings) মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়। তাই আপনার যদি দুটি সন্তান (Kids) থাকে, তাহলে তাদের বড় করতে বিশেষ গুরুত্ব দিন। এই কয়টি কাজ ভুলেও করবেন না। এতে দুজনের সুসম্পর্ক নষ্ট হবে।
আর্য ও তীর্থ দুই ভাই। একজন বারো বছরের অন্যজন সাত। ছোট দুটো ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা মায়ের। একটুতেই ঝগড়া, মারামারি চলতেই থাকে। একে অন্যকে মোটেও পছন্দ করেন না। খেলতে গেলে ঝগড়া, পড়ার সময় ঝামেলা- নানান কিছু রোজই লেগে আছে। দুই ছেলের মিল করাতে গিয়ে মায়ের হাল বেহাল। বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। শেষে হাল ছেড়ে দিয়েছে। দুই ভাই কিংবা ভাই-বোনের (Siblings) মধ্যে ছোট বয়সে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বেশ কঠিন। ছোট বয়সে তাদের নানা রকম ভাবনা মনে দেখা দেয়। একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। অনেক সময় মা-বাবা ভুলেও ভাই-বোনের (Siblings) মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়। তাই আপনার যদি দুটি সন্তান (Kids) থাকে, তাহলে তাদের বড় করতে বিশেষ গুরুত্ব দিন। এই কয়টি কাজ ভুলেও করবেন না। এতে দুজনের সুসম্পর্ক নষ্ট হবে।
হতেই পারে একজন পড়াশোনায় (Education) ভালো, অন্যজন খারাপ। এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যে তুলনা (Compare) করবেন না। এতে খারাপ সম্পর্ক তৈরি হবে। আপনি উপকারের বদলে উলটো করে ফেলবেন। তাই কেউ কোনও কিছুতে খারাপ হলে, তাকে তার উন্নতি করতে শেখান। তবে, তুলনা করে নয়। এক জনকে অন্য জনের থেকে কিছু শিখতে বললেন না। প্রতিক্ষণ দিতে চাইলে অন্য ভাবে দিন। অযথা তুলনা করে ওদের সম্পর্ক খারাপ করবে না।
দুই সন্তানের সঙ্গে সমান ভাবে সময় কাটান। দুজনকে সমান গুরুত্ব (Importance) দিন। এতে সম্পর্ক ভালো হবে। আপনার সঙ্গে যেমন ভলো বন্ডিং তৈরি হবে। তেমনই দুই বাচ্চার মধ্যে সম্পর্ক ভালো হবে। যখন বাচ্চারা বুঝবে, আপনার জীবনে তাদের দুজনের সমান ভুমিকা আছে, তখন তাদের সম্পর্কও ভালো হবে। এক সঙ্গে সময় কাটান। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, দুই সন্তানকে সময় দিন। তাদের বোঝান সম্পর্কের গুরুত্ব। ভাই বা বোন (Siblings) থাকা কতটা দরকার তা বোঝান। দেখবেন দুজনের সম্পর্ক মজবুত হবে।
সব সময় ভাই-বোনের ব্যাপারে মাথা গলাবেন না। দুজনকে নিজেদের মতো সময় কাটাতে দিন। দুজনের ঝগড়াতেও হস্তক্ষেপ করবেন না। তাদের সমস্যা তারাই মিটিয়ে নিক। দেখবেন দুজনের সম্পর্ক মজবুত (Strong) হবে। আর একান্ত হস্তক্ষেপ করতে হলেও আপনি কারও পক্ষ নেবেন না। এতে আপনার প্রসঙ্গেও বাচ্চার মনে খারাপ ধারণা তৈরি হবে।