ডিভোর্সের পর পর বাচ্চার দায়িত্ব পালন নিয়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রথমদিকে সব ঠিক থাকলেও, পরে বাচ্চা একাকীত্বে ভোগে। কো পেরেন্টসরা (Co-parents) বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে কয়টি জিনিস মাথায় রাখুন।
বিয়ের পর থেকেই নানা রকম সমস্যা চলছিল। সন্তান হতে ভেবেছিলেন সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, কিছুই বদলায়নি। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সাত বছর পর বিচ্ছেদের (Divorce) সিদ্ধান্ত নিলেন। এদিকে মেয়ের বয়স দেখতে দেখতে ৫ বছর হল। কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে সে আপনার কাছেই থাকবে। কিন্তু, মেয়ের দায়িত্ব নিতে হবে মা-বাবা দুজনকে। আজকাল বহু পরিবারে ডিভোর্স হচ্ছে। ডিভোর্সের পর পর বাচ্চার দায়িত্ব পালন নিয়ে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রথমদিকে সব ঠিক থাকলেও, পরে বাচ্চা একাকীত্বে ভোগে। কো পেরেন্টসরা (Co-parents) বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে কয়টি জিনিস মাথায় রাখুন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাকে হোস্টেলে (Hostel) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবারা। এক্ষেত্রে বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই বাচ্চাকে নিজের কাছে রাখুন। তাকে যত দূরে পাঠাবেন, তত আপনার সঙ্গে তার মানসিক দূরত্ব তৈরি হবে। ডিভোর্সের খারাপ প্রভাব যেন বাচ্চার (Kids) ওপর না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
একে অন্যকে দোষ দেবেন না। কিংবা বাচ্চার চোখে অন্যজনকে খারাপ করবেন না। ডিভোর্সের (Divorce) আগে, দুজনে মিলে বাচ্চাকে সে কথা জানান। এই কথা জানানোর সময় একে অন্যকে দোষ দেবেন না। এমনকী, বাচ্চা যখন আপনার কাছে থাকবে, তখন তার বাবার দোষ জানাবেন না। এতে বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। কী কারণে, কার জন্য ডিভোর্স (Divorce) হল তা বাচ্চার জানার দরকার নেই।
মা-বাবা দুজনেই বাচ্চাকে সময় দিন। প্রতি সপ্তাহে সময় কাটান। আপনাদের দুজনের ডিভোর্স (Divorce) হতেই পারে। কিন্তু, এতে বাচ্চার কোনও দোষ নেই। তাই তাকে সময় দিন। বাচ্চার দায়িত্ব পালনে যেন কোনও গাফিলতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাচ্চার (Kids) সঙ্গে দুজনে সময় কাটান। সম্পর্কে যতই তিক্ততা থাকুন, বাচ্চার ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে দেবেন না। দেখবেন সে যেন, বাবা কিংবা মা কারও অভাব অনুভব না করে।
আরও পড়ুন: Parenting Tips: মা-বাবা ভুলেই নষ্ট হচ্ছে বাচ্চার ভবিষ্যত, সবার আগে বদল করুন নিজের স্বভাব
ডির্ভোসের (Divorce) পর হতেই পারে নতুন সংসার পাতবেন ভাবছেন, সেক্ষেত্রে আগে থেকে বাচ্চাকে জানান। পরে জানাবেন, এই ভেবে দেরি করবেন না। বাচ্চার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন এই প্রসঙ্গে। তার মতামত জানুন। এই বিষয়টি জোড় করে বাচ্চার ওপর চাপিয়ে দেবেন না। নতুন সঙ্গীর সঙ্গে বাচ্চার বন্ডিং (Bonding) যাতে ভালো হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।