Maa Durga: ছবিতে দেখুন মা দুর্গার ৯টি রূপ, জানুন কোন রূপের আরাধনা কেন করবেন

শৈলপুত্রী মানে হিমালয়ের কন্যা। ধারণা করা হয় জন্মের পর শৈলপুত্রী কাশীতে এসে বসতি স্থাপন করেন। মাতা শৈলপুত্রীর প্রাচীন মন্দির, নব দুর্গার প্রথম রূপ, কাশীতে রয়েছে।

ব্রহ্মচারিণী মানে তপস্যার শিক্ষক অর্থাৎ যিনি তপস্যা করেন। মাতা পার্বতীর দ্বিতীয় শক্তি মা ব্রহ্মচারিণীর মন্দির বারাণসীর বালাজি ঘাটে অবস্থিত

দেবী পার্বতীর তৃতীয় শক্তি হলেন মা চন্দ্রঘন্টা, তার মাথায় একটি বালিঘাস আকৃতির অর্ধচন্দ্র অবস্থিত। তিনি ভগবান শিবকে স্বামীরূপে পেয়েছিলেন।

নব দুর্গার চতুর্থ রূপ কুষ্মাণ্ডার তিনি নিজের মধ্যে ব্রহ্মাণ্ড ধারণ করেন, তাই তাকে কুষ্মাণ্ডা বলা হয়।

নব দুর্গার পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। ভগবান স্কন্দের মা হওয়ার কারণে তার নাম রাখা হয়েছিল স্কন্দমাতা।

কাত্যায়নীর বিখ্যাত মন্দির, দেবী দুর্গার ষষ্ঠ শক্তি। মথুরার ভুতেশ্বরে কাত্যায়নী বৃন্দাবন শক্তিপীঠ প্রতিষ্ঠিত। এখানে মাতা সতীর চুল পড়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তার নাম কাত্যায়নী হওয়ার কারণ বলা হয় তিনি ঋষি কাত্যায়নের কন্যা।

দেবী মায়ের সপ্তম শক্তি কালরাত্রির মন্দিরও বারাণসীতে অবস্থিত। এই রূপটি কষ্টের নাশক, তিনি বহুবার রাক্ষসদের বধ করেছেন, তাই তাকে কালরাত্রি বলা হয়। রাতে তাদের পূজা করা হয়।

মাতার এই রূপের রং খুবই ফর্সা, তাই তাকে মহাগৌরী বলা হয়। নব দুর্গার অষ্টম শক্তি মহাগৌরী। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে শিব লাভের জন্য তপস্যার কারণে তার গায়ের রং কালো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আদিদেব শিব আবার তার রং সাদা করেছিলেন।

দুর্গার নবম শক্তি মাতা সিদ্ধিদাত্রী। মায়ের এই রূপের আরাধনা করলে ভক্ত সর্বপ্রকার সিদ্ধি লাভ করেন। তাই তাকে সিদ্ধিদাত্রী বলা হয়।