Durga Puja 2024: ব্রহ্মার নির্দেশে শ্রীরাম 'অকালবোধন' করেছিলেন, জানুন আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজোর গুরুত্ব

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শরদকালে হয়। তাই শারদীয় দুর্গাপুজোও হলা হয়।

সনাতন হিন্দু ধর্মে বছরে চারটি নবরাত্রি বা দুর্গাপুজো করা হয়ে থাকে। আশ্বিনের দুর্গাপুজোকে বলা হয় শারদীয়া।

কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ মতে, ক্রেতাযুগে অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র শ্রীরাম রাবণকে বধ করার পর সীতাকে উদ্ধারের পর দেবীদুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে দেবীর অকালবোধন করেছিলেন।

স্কন্দ পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, দেবী দুর্গা হলেন শক্তির আধার। দুর্গা ও শক্তি পুজোর মধ্যে বিভেদ নেই। তাই রাবণ বধের আগে শক্তির জন্যই রাম পুজো করেছিলেন।

কৃত্তিবাসি রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাবণ ছিলেন অত্যন্ত শিবভক্ত। যে কোনও বিপদে পার্বতী তাকে রক্ষা করতেন। তাই ব্রহ্মা রামকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, শিবপত্নী পার্বতীকে পুজো করে তুষ্ট করতে।

সীতা উদ্ধারের জন্য রাবণ-বধ রামের পক্ষে সহজসাধ্য করতেই সব আয়োজন করেছিলেন। ব্রহ্মার পরামর্শে শ্রীরাম শরৎকালে পার্বতীর দুর্গতিনাশিনী রূপের বোধন, চণ্ডীপাঠ ও মহাপুজোর আয়োজন করেছিলেন।

আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিন রাম কল্পারম্ভ করেছিলেন। সন্ধ্যেয় বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস করেছিলেন দশরথ পুত্র। মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজার পরেও দুর্গার আবির্ভাব না ঘটায়, রাম মোট ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পুজোর পরিকল্পনা করেন। কিন্তু না পাওয়ায় নিজের চোখ দেবীর পায়ে নিবেদন করতে চান। তখনই দেবী দুর্গা তুষ্ট হয় আশীর্বাদ করেন।

রামের পুজোয় তুষ্ট দেবী আশীর্বাদ করেন। তারপরই রাম দশাননকে বধ করেন। কিন্তু অনেকে আবার মনে করে এই সময়ই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। তাই এই সময়ই দুর্গাপুজো করা হয়।

বাঙালি সনাতন সমাজে দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য যেমন রয়েছে, তেমনি সামাজিক ও সামাজিক উত্‍সবের অন্যতম। সাধারণত আশ্বিন ও চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গা পুজো করা হয়ে থাকে।

সব জায়গাই দুর্গার স্থান। সবসময়ই দুর্গা পুজো করার সময়। তন্ত্রমতে দেবীর আরাধনা করা হয় শক্তিরূপে।