এই দেবীর কাছে যা চাইবেন-তাই পাবেন, জাগ্রত দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে আসেন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী

মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর বয়স প্রায় ২,০০০ বছর। তবে, মন্দিরে পুজো হচ্ছে প্রায় ৩০০ বছর ধরে।

Parna Sengupta | Published : Nov 2, 2023 2:29 PM IST

এই মন্দির থেকে নাকি খালি হাতে ফেরত যান না কেউ। এমনই বিশ্বাস ছড়িয়ে রয়েছে ভক্তদের মনে। তাই এখানে ভিড় করেন লাখে লাখে ভক্ত। বর্ধমানের রাজা কৃত্তিচাঁদ রায় এই মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন। বর্ধমানের বাঁকা নদীর উত্তর তীরে রাধানগর পল্লিতে অবস্থিত দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির নিয়ে এমনই গল্পকথা ও বিশ্বাস গেঁথে রয়েছে সবার মনে। বলা হয়, মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর বয়স প্রায় ২,০০০ বছর। তবে, মন্দিরে পুজো হচ্ছে প্রায় ৩০০ বছর ধরে।

আড়াই দশক আগেও দুর্গাষ্টমীতে এই কামান থেকে গোলা ছোড়া হত। যার তোপের আওয়াজে শুরু হত বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাষ্টমীর সন্ধিপুজো। এখানে সর্বমঙ্গলা মন্দির ছাড়াও রয়েছে পাঁচটি শিব মন্দির। মন্দিরের বাইরে পূর্ব দিকের দরজার পাশে আছে ধনলক্ষ্মী মন্দির। এছাড়াও মন্দিরের বাইরে বাঁকা নদীর তীরে একটি কামান আছে।

আরও পড়ুন- Badrinath Temple: বদ্রীনাথ মন্দিরে কেন শঙ্খ বাজানো হয় না, জেনে নিন এর রহস্যময় কাহিনী

সকাল ৬টায় মন্দির খোলা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুজো হয়। ভক্তদের অন্নভোগ খাওয়া হয়ে গেলে দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। আবার বিকেল ৪টায় মন্দির খোলে, বন্ধ হয় রাত ৮টায়। মন্দিরে ভোগ খেতে চাইলে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে মন্দিরের অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করতে হয়। ভোগ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে, তার মূল্য লাগে ৬০ টাকা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কুপন সংগ্রহ করতে না-পারলে, মন্দিরের প্রধান গেটের সামনে পুজোর দোকান থেকেও অনেক সময় কুপন পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- ধনতেরাসের দিনে এই জিনিসগুলি কখনই কিনবেন না, সারা বছর লেগে থাকবে টাকার টানাটানি

কীভাবে আসবেন?

বর্ধমান স্টেশন থেকে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। বর্ধমান স্টেশন থেকে টোটো চেপে চলে আসতে পারেন এই মন্দিরে। ভাড়া ২০ টাকা।

এই মন্দিরের দুটো প্রবেশদ্বার রয়েছে। তার মধ্যে যেটি পূর্ব দিকে অবস্থিত, সেটা পুরাতন। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আছে প্রধান প্রবেশদ্বার। প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনেই রয়েছে দুটি শিবমন্দির। তার একটির নাম চন্দ্রেশ্বর। অপরটির নাম ইন্দ্রেশ্বর। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে আরও তিনটি উত্তরমুখী শিবের মন্দির আছে। যার নাম রামেশ্বর, কমলেশ্বর। যাদের গায়ে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। শিবলিঙ্গ শ্বেতপাথরের। মধ্যে রয়েছে মিত্রেশ্বর শিব মন্দির। যার শিবলিঙ্গ কালো পাথরের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!