রাম মন্দিরের চারপাশে পজেটিভ শক্তিক্ষেত্র! জেনে নিন কোন বাস্তু নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে মন্দির

রাম মন্দিরের স্থাপত্যে ছোটখাটো বিবরণের যত্ন নেওয়া হয়েছে। রাম মন্দিরের মূল নকশাটি ১৯৮৮ সালে আহমেদাবাদে নির্মিত হয়েছিল। আহমেদাবাদের সামপুরা পরিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিড়লা মন্দিরের নকশাও করেছে।

Parna Sengupta | Published : Jan 16, 2024 12:23 PM IST

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দির ২২ জানুয়ারি সোমবার মহা আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্বোধন করা হবে। রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য বহু বছর ধরে অপেক্ষা করছেন রাম ভক্তরা। এবার তাদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বাস্তু অনুসারে এই মন্দিরের বিশেষত্ব জেনে নিন।

রাম মন্দিরের স্থাপত্য

রাম মন্দিরের স্থাপত্যে ছোটখাটো বিবরণের যত্ন নেওয়া হয়েছে। রাম মন্দিরের মূল নকশাটি ১৯৮৮ সালে আহমেদাবাদে নির্মিত হয়েছিল। আহমেদাবাদের সামপুরা পরিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিড়লা মন্দিরের নকশাও করেছে। ২০২০ সালে, সামপুরা পরিবার রাম মন্দিরের পুরোনো পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন করে একটি নতুন পরিকল্পনা করে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান স্থপতি ছিলেন চন্দ্রকান্ত সম্পুরা এবং তাঁর দুই পুত্র নিখিল সামপুরা এবং আশিস সামপুরা। রাম মন্দির 'নাগরা' স্থাপত্যশৈলী অনুসারে নির্মিত হয়েছিল।

রাম মন্দির সম্পর্কে বিশেষ তথ্য

অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরটি ৩৮০ ফুট লম্বা, ২৫০ ফুট চওড়া এবং ১৬১ ফুট উঁচু। তিনতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরের প্রতিটি তলার উচ্চতা ২০ ফুট। মন্দিরে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা রয়েছে। শ্রী রামচন্দ্রের শিশুরূপ রামলালা প্রধান গর্ভগৃহে উপস্থিত থাকবে। দোতলায় শ্রী রাম দরবার হবে। মন্দিরে মোট পাঁচটি মণ্ডপ থাকবে। এই পাঁচটি মণ্ডপের মধ্যে থাকবে নাচের মণ্ডপ, রঙের মণ্ডপ, প্রার্থনার মণ্ডপ, ভক্তদের জমায়েতের মণ্ডপ এবং কীর্তনের মণ্ডপ। মন্দিরে বিভিন্ন দেব-দেবীর সুন্দর মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম মন্দিরের স্তম্ভ ও দেয়ালে খোদাই করা হবে দেব-দেবীর মূর্তি। মন্দিরের চার কোনায় থাকবে আরও চারটি মন্দির। এই চারটি মন্দির মাতা ভগবতী, গণপতি, সূর্যদেব এবং মহাদেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে।

এছাড়া মন্দির চত্বরে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, নিশাধরাজ, মা সবরী ও দেবী অহিল্যার মন্দির। মন্দির চত্বরে অবস্থিত প্রাচীন মহাদেব মন্দির ও নবরত্ন কুবেরের ঢিবি পুনর্নির্মাণ করা হবে। এখানে জয়তুর মূর্তি স্থাপন করা হবে। লক্ষণীয় বিষয় হল এই মন্দির নির্মাণে লোহা ব্যবহার করা হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!