প্রাচীন কালে মহিষাসুর নামে এক অসুর ছিল। যে ব্রহ্মার আশীর্বাদে প্রবল ক্ষমতাশালী ছিল। ব্রহ্মার আশীর্বাদে তাঁকে বধ করতে পারবে একমাত্র নারী।
দুর্গাপুজোর শেষপ্রান্ত বিজয় দশমী। মা দুর্গাকে বিদায় জানানোর পালা। এই দিনটি বাঙালির কাছে সম্প্রীতি আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের দিন। দিনটির গুরুত্ব অনেক। কিন্তু কেন হয় এই বিজয়া দশমী। রয়েছে অনেক পৌরানিক তথ্য।
বিজয়া দশমীর পৌরাণিক তথ্য
প্রাচীন কালে মহিষাসুর নামে এক অসুর ছিল। যে ব্রহ্মার আশীর্বাদে প্রবল ক্ষমতাশালী ছিল। ব্রহ্মার আশীর্বাদে তাঁকে বধ করতে পারবে একমাত্র নারী। আর সেই কারণে আদি শক্তি দুর্গারূপ ধারন করেন। দশ হাতে দশ দেবতা তাঁকে অস্ত্র দেন। মা দুর্গার তেজ আর ক্ষমতার কাছে বিপর্যস্ত হয় অসুর বাহিনী। মহিষাসুরের অংহারের নাশ হয় মা দুর্গার হাতে। টানা ৯ দিন যুদ্ধের পরে দেবী দুর্গার হাতে নিধন হয় মহিষাসুর। শুক্লাপক্ষের দশমীতে অসুর নিধন হয়। সত্য আর শুভ শক্তির জয় হয়। সেই জয়কে মাথায় রেখেই দিনটি বিজয়া দশমী হিসেবে পালন করা হয়।
রামায়ণের তথ্য
রামায়ণের গল্প অনুযায়ী রাম-রাবণের যুদ্ধের সময় রাবণকে বধ করতে রাম অকাল বোধন করেছিলেন। সেই সময় তিনি দুর্গার পুজো করে। শুক্লাপক্ষের দশমীতে তিনি রাবণকে বধ করেন। শ্রীরামের জয়কে মাথায় রেখেই বিজয়া দশমী পালন করা হয়।
মহাভারতের কাহিনী
মহাভারতের তথ্য অনুযায়ী দেশীপক্ষের দশমীর দিনই পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের সময় লুকানো অস্ত্রগুলি বার করে তার পুজো করেছিলেন। সেই কারণে এই দিনটি তাদের কাছে বিশেষ হিসেবে পালিত হয়।
বৌদ্ধ ধর্মের তথ্য বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে সম্রাট অশোক টানা ১০ দিন ধরে বিজয়ার উৎসব পালন করেছিলেন। সেই কারণে বৌদ্ধদের কাছে এটি অশোক বিজয় দশমী।