প্রচুর বিষ্ফোরণ আর প্রাণহানির পরেও 'বাজিপ্রীতি কেন?' প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক মাস যাবৎ বাজি বিক্রির অনুমতি

পরিবেশবিদ আর বাজি বিক্রেতা, উভয় পক্ষের প্রশ্নের মুখেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১ মাস যাবৎ বাজি বিক্রি করার অনুমতির সিদ্ধান্ত। পরিবেশের কী হবে আর বিক্রেতাদের অবস্থা কী হবে… উভয় সংকটে দুই পক্ষ।

Sahely Sen | Published : Sep 23, 2023 5:27 AM IST / Updated: Sep 23 2023, 11:00 AM IST

পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বাজি তৈরির কারখানায় একের পর এক বিস্ফোরণের কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তৎপরতা এবং অনুমতির গাফিলতি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছিল জোরালো প্রশ্ন। তারপর বাজি তৈরির জন্য অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জেলায় জেলায় কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এতবার বিস্ফোরণ হওয়ার পরেও উৎসবের মরশুমে ১ মাস ধরে বাজি বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার পরিবেশবিদ আর বাজি বিক্রেতা, উভয় পক্ষের তরফ থেকেই জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। 

পরিবেশকর্মীরা দাবি বলছেন, টানা ৩০ দিন ধরে বাজির বাজার বসলে বেআইনি বাজি হু হু করে বেড়ে যেতে পারে। রাজ্যে আরও বিস্ফোরণ ঘটে পারে। উৎসবের মরসুমে কালীপুজো এবং বড়দিন মিলিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত, সেখানে এত বেশি দিন ধরে বাজির বাজার বসলে স্বাভাবিকভাবেই বাজি ফাটানোর পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

নবান্নের নয়া নির্দেশিকা নিয়ে বাজি ব্যবসায়ীদের মধ্যেও কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাজির বাজারের জন্য ৩০ দিন  সময় আছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে দুর্গাপুজো থেকেই বাজি বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু একের পর এক বিস্ফোরণ হওয়ায় বৈধ সবুজ বাজি বিক্রির ওপরেই জোর দেওয়া হয়েছে, সেই বাজি কোনওমতেই বেশি পরিমাণে প্রস্তুত করা যাচ্ছে না, আরেকদিকে বাজির বাজার বসাতে গেলে দমকল, পুলিশের অনুমতি নিতে হয়, মাঠ ভাড়া নেওয়ার জন্য পুরসভাকে অনেকখানি টাকা দিতে হয়। সাত দিনের বাজার বেড়ে ৩০ দিন হয়ে গেলে ব্যবসায়ীদের খরচ প্রচুর বেড়ে যাবে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!