কপিল দেবই আসল 'ক্যাপ্টেন কুল', বিশ্বকাপ জয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে প্রশংসা সুনীল গাভাসকরের

১৯৮৩ সালের ২৫ জুন কপিল দেব নিখাঞ্জের নেতৃত্বে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল। রবিবার সেই জয়ের ৪০ বছর পূর্ণ হল। বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা একসঙ্গে দিনটি উদযাপন করলেন।

ভারতীয় দল এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ বার ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেব নিখাঞ্জের নেতৃত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় দল। এর ২৮ বছর পর ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপও চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জেতান ধোনি। একমাত্র ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ৩ বার আইসিসি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ধোনি। তিনি ক্রিকেট মহলে 'ক্যাপ্টেন কুল' নামে পরিচিত। তবে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে সতীর্থ কপিল দেবকে 'আসল ক্যাপ্টেন কুল' বলে উল্লেখ করলেন সুনীল গাভাসকর।

কপিলের প্রশংসা করে গাভাসকর বলেছেন, ‘ব্যাটে ও বলে কপিলের পারফরম্যান্স চমকপ্রদ ছিল। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে ও যেভাবে ভিভ রিচার্ডসের ক্যাচ নিয়েছিল, সেটাও ভুলে গেলে চলবে না। ওর অধিনায়কত্ব ছিল ইতিবাচক। ও সবমসয় উন্নতির চেষ্টা করত। ওডিআই ফর্ম্যাটে যেভাবে খেলা উচিত, ও ঠিক সেভাবেই দল পরিচালনা করত। যখন কোনও সহ-খেলোয়াড় ক্যাচ ফস্কাত বা ফিল্ডিংয়ে ভুল করত, তখন কপিলের মুখে হাসি দেখা যেত। এটাই ওকে আসল ক্যাপ্টেন কুল করে তুলেছিল।’

Latest Videos

কীর্তি আজাদ, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত-সহ ভারতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ধরে নিয়েছিলেন, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে তাঁরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেবেন। সেই কারণে সদ্য বিবাহিত শ্রীকান্ত বিশ্বকাপের মধ্যেই মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা সেরে রেখেছিলেন। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। কিন্তু জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই ভারতীয় দলকে বদলে দেয়। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। সেই অবস্থায় ১৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন কপিল। এই ইনিংস দলের সবার আত্মবিশ্বাস বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। এরই সুবাদে ফাইনালে ১৮৩ রানের পুঁজি নিয়েও ২ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে দেয় ভারত। কপিল যদি জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওই ইনিংস খেলতে না পারতেন, তাহলে হয়তো ভারতীয় দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। কপিলের লড়াইয়ের জন্যই বিশ্বকাপ জয়ের পথে এগিয়ে যায় ভারত।

কপিলের পাশাপাশি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল মহিন্দর অমরনাথ, মদন লালেরও। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন অমরনাথ। ফাইনালে ভালো বোলিং করেন মদন লাল।

আরও পড়ুন-

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় আমার জীবন বদলে দিয়েছিল, চ্যাম্পিয়নদের শ্রদ্ধা সচিন তেন্ডুলকরের

প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৪ দশক পূর্তি, ফিরে দেখা কপিল দেব-মহিন্দর অমরনাথদের অবিস্মরণীয় কীর্তি

Ravindra Jadeja: ক্রিকেট থেকে বিরতি, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন রবীন্দ্র জাদেজা

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury