২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে মুম্বইয়ে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল, তারপর ১৪ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও মানুষের মনে সেই হামলার ক্ষত রয়ে গিয়েছে।
মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার ওয়াসিম জাফর। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'যাঁরা বাড়ি ফিরে আসতে পারেননি, তাঁদের কথা স্মরণ করতে হবে আমাদের। আজকের দিনে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় যাঁরা প্রাণ বলিদান দেন, তাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগকে কুর্ণিশ জানাই।' জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানো পুলিশকর্মী ও সেনা জওয়ানদের ছবিও দিয়েছেন জাফর। তিনি জঙ্গি হামলার নিন্দা করার পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। তাঁর এই ট্যুইট এখনও পর্যন্ত ৮৩৭ জন রিট্যুইট করেছেন। ১২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি এই ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কমেন্ট করেছেন। জাফরের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নিন্দা করছেন এবং প্রাণ বিসর্জন দেওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করছেন। ১৪ বছর আগে যে হামলা হয়েছিল, সেই ঘটনা এখনও কেউই ভুলতে পারেননি। সবার মনেই সেই ঘটনা টাটকা হয়ে আছে।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, নরিম্যান হাউসের মতো জায়গায় হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলে। আজমল কাসভ জীবিত ধরা পড়ে। বাকি জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়। এই জঙ্গি হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হন। হতাহতদের মধ্যে অনেক বিদেশি নাগরিকও ছিলেন।
করাচি থেকে ১০ জন লস্কর জঙ্গি একটি স্পিডবোটে তড়ে মুম্বই পৌঁছয়। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ২ জন ট্রাইডেন্টে যায়, ২ জন তাজ হোটেলে যায় এবং ৫ জন নরিম্যান হাউসে যায়। কাসব, ইসমাইল খানরা ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস সহ বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। বহু মানুষকে খুন করা এবং আতঙ্ক ছড়ানোই তাদের লক্ষ্য ছিল। জঙ্গি হামলায় ৬ জন পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অশোক কামতে, বিজয় সালাস্কার, জঙ্গি-দমন শাখার প্রধান হেমন্ত কারকারে। তাজ হোটেলে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা। ২৬ নভেম্বর মধ্যরাতের মধ্যেই তাজ হোটেল ঘিরে ফেলে মুম্বই পুলিশ। পরদিন সেনাবাহিনী ও কম্যান্ডোরা এই হোটেলে গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন। গুলির লড়াই চলতে থাকে। ২৮ নভেম্বর ট্রাইডেন্ট ও নরিম্যান হাউস জঙ্গিদের কবলমুক্ত করতে সক্ষম হন কম্যান্ডোরা। ২৯ নভেম্বর 'অপারেশন টর্নেডো'-র মাধ্যমে তাজ হোটেলও জঙ্গিদের কবলমুক্ত করে এনএসজি।
আরও পডুন-
২৩ অক্টোবর আমার জীবনের বিশেষ দিন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংস নিয়ে বলছেন বিরাট
এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে ভারতে বিশ্বকাপে আসবে না পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি রামিজ রাজার
ফের প্রকট বোলিং ব্যর্থতা, প্রথম ওডিআই-তে ৩০৬ রান তুলেও হার ভারতীয় দলের