এবারের আইপিল শুরু হওয়ার আগে এবং আইপিএল চলাকালীন যত ক্রিকেটার চোট পাচ্ছেন, সেটা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। একের পর এক ক্রিকেটার চোট পাওয়ায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছে দলগুলি।
এবারের আইপিএল-এ চোট পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা ক্রমশঃ লম্বা হচ্ছে। কম-বেশি সব দলই সমস্যায় পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারছেন না দীপক চাহার। হাতে চোট পেয়ে ২ সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার সিসান্দা মাগালা। চোট পেয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। হাঁটুর চোট নিয়েই খেলছেন সিএসকে মহেন্দ্র সিং ধোনি। একাধিক ক্রিকেটারের চোটে সমস্যায় পড়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। এই পরিস্থিতিতে আইপিএল চলাকালীন ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত থাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিলেন বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হেমন্ত কল্যাণ।
এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘ম্যাচের আগে প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের পেশি, অস্থি সঞ্চালন ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেটা দেখা জরুরি। স্ট্রেচিং, পেশির শক্তি বৃদ্ধি, সহনশীলতা বৃদ্ধি জরুরি। না হলে লিগামেন্টের চোট, পেশি ছিঁড়ে যাওয়া, টেন্ডন ইনজুরির আশঙ্কা থেকে যায়। তবে স্ট্রেচিং করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। প্রত্যেকের শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী স্ট্রেচিং করা উচিত। তাহলে চোটমুক্ত থাকা যায়। কার্ডিও, এনড্যুরেন্স ওয়ার্কআউটও জরুরি। ক্রিকেটারদের ফিটনেস বৃদ্ধি করার জন্য ফুটবল, বাস্কেটবলের মতো খেলাগুলিও উপকারী। এর ফলে পেশি সবল হয়। সাঁতারও অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত সাঁতার কাটলে চোটমুক্ত থাকা যায়।’
এই চিকিৎসক আরও বলেছেন, ‘আইপিএল যখন চলছে, তখন দেশের বেশিরভাগ শহরেই তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। ম্যাচ চলাকালীন ঘামের সঙ্গে ক্রিকেটারদের শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্লান্তি গ্রাস করছে। এই সময় পেশিতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। চোটমুক্ত থাকার জন্য এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। এছাড়া ফলের রস, লেবুর শরবত খাওয়াও ভালো। ম্যাচ শুরু হওয়ার আধঘণ্টা আগে নুন-চিনির জল খেলেও উপকার হয়। ম্যাচের বিরতিতেও নুন-চিনির জল খাওয়া ভালো। খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে সবাইকে। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ফুড সাপ্লিমেন্টও জরুরি। কারণ, অল্পদিনের ব্যবধানে পরপর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। ফলে শরীরের উপর ধকল পড়ছে।’
ক্রিকেটারদের জন্য চিকিৎসক কল্যাণের সতর্কবার্তা, ‘মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলা উচিত। পারফরম্যান্স-বর্ধক যে কোনও ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, ডোপ টেস্টে ধরা পড়লে যেমন নির্বাসিত হতে হবে, তেমনই এই ধরনের ওষুধ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।’
আরও পড়ুন-
IPL 2023: ধোনির হাঁটুতে চোট, ২ সপ্তাহ মাঠের বাইরে সিসান্দা মাগালা
IPL 2023: দিল্লি ক্যাপিটালসের ভালো দল হয়ে উঠতে সময় লাগবে, মত সৌরভের
IPL 2023 : হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্রথম জয় মুম্বই ইন্ডিয়ানসের