ব্রাজিলের ম্যাচ ঘিরে একপ্রকারের উৎসব শুরু হয়েছে কাতারে। বাজনা বাজিয়ে, নাচ, গান দিয়ে উদযাপীত হচ্ছে প্রিয় দলের খেলা। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খেলা দেখতে বিশ্বে নানা কোন থেকে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকরা।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ব্রাজিল। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দূরন্ত ফর্মে ব্রাজিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামারুনের কাছে ১-০ গোলে হারলেও ট্রফি জেতার স্বপ্ন একবিন্দুও দমেনি। পাশাপাশি দমেনি সমর্থকদের উৎসাহও। ব্রাজিলের ম্যাচ ঘিরে একপ্রকারের উৎসব শুরু হয়েছে কাতারে। বাজনা বাজিয়ে, নাচ, গান দিয়ে উদযাপীত হচ্ছে প্রিয় দলের খেলা। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খেলা দেখতে বিশ্বে নানা কোন থেকে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকরা। সাম্বার দেশের ফুটবলের টানে কাতারে ভিড় করেছেন বঙ্গ সন্তানেরাও। ব্রাজিলের খেলা মানেই হলুদ রঙে ঢেকে যায় গোটা শহর। ২০০২ সালে শেষ বিশ্বকাপ উঠেছিল হলুদ জার্সিধারীদের হাতে। তারপর কেটে গিয়েছে ২০ বছর। ষষ্ট ট্রফির লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে তিতের দল।
প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয়। তারপর সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জয়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামারুনের বিরুদ্ধে হারতে হলেও গোল পার্থক্যের কারণে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় ব্রাজিল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে চলেছে গ্রুপ এইচ-এর দু'নম্বর দল দক্ষিণ কোরিয়া। সেই ম্যাচের আগেই দারুণ উত্তেজনা দেখা গেল ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে। শুধু কাতার নয় ফুটবলের বর্ণময় উদযাপন দেখা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন কোনায় ফুটবল যে মানুষের কতটা জুড়ে তা বারবারই প্রমাণ করছে ফুটবলপ্রেমীরা। বিশ্বকাপ ঘিরে কার্যত দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। কোথাও নীল সাদা, কোথাও আবার হলুদ সবুজ।
এর আগেই আর্জেন্টিনাকে ঘিরে বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনার প্রশংসা করেছেন কোচ স্কালোনি। সাংবাদিক বৈঠকে স্কালোনি বললেন,'আমাদের জার্সি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সমর্থকদের উন্মাদনা রয়েছে। দিয়েগো মারাদোনা এই জার্সি পরে খেলেছে। লিয়োনেল মেসি খেলছে। তাই এই দলকে নিয়ে মানুষের পাগলামি থাকবেই। বাংলাদেশের এত জন আমাদের সমর্থন করছেন, এতে আমরা গর্বিত। আমরা সব ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। বাংলাদেশের মানুষকে অনেক ধন্যবাদ।'