রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যে লিওনেল মেসিরা। পরপর ২ বার বিশ্বকাপ জেতাই লক্ষ্য ফ্রান্সের।
বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষাৎকারে হেরে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ৪-৩ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয় ফ্রান্স। কিন্তু শেষ সাক্ষাৎকারের ফল যাই হোক না কেন, ফরাসিদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে মেসিরা। এখনও পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ১২ বার। তার মধ্যে ৬ ম্যাচে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে ফ্রান্স এবং ৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে। ফলে অতীত রেকর্ড আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের মনোবল বাড়াতে পারে। তবে এই ২ দলের লড়াই বরাবরই হাড্ডাহাড্ডি হয়। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ২-০ গোলে। আর্জেন্টিনাও ২-০ গোলে জিতেছে আবার ফ্রান্সও জিতেছে। ফলে রবিবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে টানটান উত্তেজনার ম্যাচ হতে পারে। এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ ফুটবল খেলছেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা। প্যারিস সাঁ জা-র এই ২ স্ট্রাইকার ৫ গোল করেছেন। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে তাঁরা আছেন। ফলে ফাইনালে ব্যক্তিগত লড়াইও দেখা যাবে। তবে মেসি ও এমবাপে ব্যক্তিগত নজিরের চেয়ে দলকে জেতানোর জন্যই বেশি চেষ্টা করবেন।
আর্জেন্টিনা এখনও পর্যন্ত ২ বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। এছাড়া ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার নিয়ে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে লাতিন আমেরিকার দলটি। অন্যদিকে ফ্রান্স এখনও পর্যন্ত ২ বার বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৯৮ সালে নিজেদের দেশে ফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতেন জিনেদিন জিদানরা। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ চ্য়াম্পিয়ন হন এমবাপেরা। এখনও পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছে ফ্রান্স। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স। এবার নিয়ে চতুর্থবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে ফ্রান্স।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল জিদানের। তিনি ২ বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে ৩ গোল করেছেন। ১৯৯৮ সালের ফাইনালে জিদান করেছিলেন ২ গোল এবং ২২০৬ সালে করেছিলেন ১ গোল।
রবিবার ফাইনালে ২ দলেরই আক্রমণভাগের সঙ্গে বিপক্ষের রক্ষণের লড়াই হবে। ২ দলেরই আক্রমণ প্রচণ্ড শক্তিশালী। একদিকে মেসি, লটারো মার্টিনেজ, জুলিয়ান আলভারেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, অন্যদিকে এমবাপে, অলিভিয়ের জিরু, আঁতোয়া গ্রিজম্যান। ফলে যে দলের রক্ষণ বিপক্ষের স্ট্রাইকারদের আটকে দিতে পারবে, তারাই জয় পাবে। রবিবার নিকোলাস ওটামেন্ডি-ভারানদের বড় পরীক্ষা।
আরও পড়ুন-
পরিবর্ত হিসেবে নেমে ৪৪ সেকেন্ডেই গোল, ফ্রান্সের নায়ক র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি
মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় থামল, ২-০ গোলে জিতে ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স
মেসির 'ওয়ান মোর ড্যান্স', ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ৮ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা